পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দেবোত্তর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নিখিল কুমার সাহা (৫০) কে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেছে একই দলের সন্ত্রাসীরা। আহত অবস্থায় তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আটঘরিয়া উপজেলার জালালের ঢাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত নিখিল চন্দ্র সাহার অভিযোগ, আটঘরিয়া উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি আটঘরিয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম রতনের নির্দেশে তার উপর ৮/১০ জনের একটি সন্ত্রাসীদল অর্তকিতভাবে হামলা চালিয়ে তাকে গুরুত্বর ভাবে আহত করা হয়েছে।
স্থানীয় তথ্য মতে জানা যায়, জেলা প্রশাসকের কাছে সম্প্রতি আটঘরিয়া পৌরসভার সীমানা বর্ধিত করণের আবেদন করেন পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন। পাইকপাড়া, গৌড়রী সহ ৪টি এলাকা কৃষি ভিত্তিক এলাকা হওয়ায় ওই ৪টি এলাকা যেন বর্ধিত করা না হয় তার জন্য আটঘরিয়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দেবোত্তর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নিখিল কুমার সাহা লিখিতভাবে জেলা প্রশাসককে অবগত করেন।

এ নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে নোটিশ করে ডেকে জেলা প্রশাসক বৈঠক করেন। বিষয়টি নিয়ে পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন বিক্ষুব্ধ হয়ে নিখিল কুমার সাহা কে মারপিটের হুমকি দেয় বলে দাবি করেন আহত নিখিল চন্দ্র সাহা।
এদিকে আটঘরিয়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও দেবোত্তর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নিখিল কুমার সাহা’র উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পুজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ।

জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক বাদল কুমার ঘোষ, সদর উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রভাষ চন্দ্র ভদ্র, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কমল চন্দ্র সাহা, পাবনা পৌরসভা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বলয় কুমার সাহা ও সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর সরকার জিতু সহ আটঘরিয়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিরোধ কর্মকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

এ বিষয়ে আটঘরিয়া পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন বলেন, আমি শুনেছি, জালালের ঢালের কাছে নিখিলকে মারধর করা হয়েছে। তবে এর সাথে আমি বা আমার লোকজন জড়িত এ অভিযোগ মিথ্যা। সমস্যা হচ্ছে নিখিল ভুমিমন্ত্রীর গ্রুপ করে, আমি করিনা। এখন আমাকে ফাঁসানোর চক্রান্ত করা হচ্ছে।