২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির জয়ের পর সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিষয়টি তুলে ধরে আগামী নির্বাচন নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।একাদশ সংসদ নির্বাচনের কয়েক মাস আগে শনিবার ঢাকায় জন্মাষ্টমীর এক শোভাযাত্রা উদ্বোধনের সময় এই সতর্কবার্তা দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনাদের কি ২০০১ সালের কথা মনে আছে? ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক শক্তি ক্ষমতায় এলে বিভীষিকা আর অন্ধকার নেমে আসে, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সারা বাংলায় নিপীড়িত হয়, নির্যাতিত হয়, ধর্ষিত হয়, ফাহিমা-পূর্ণিমা। এদের কথা কি আপনাদের মনে আছে? কত হিন্দু রমণীকে পৈশাচিকভাবে ধর্ষণ করেছে ওই বর্বর শক্তি। নিরীহ মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়ে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।মনে আছে আপনাদের সেই নির্যাতনের কথা। এবার যদি সেই অপশক্তি আবার ক্ষমতায় আসতে পারে ২০০১ সালের চেয়েও ভয়াবহ রক্তাক্ত সময় আপনাদের জন্য ঘনিয়ে আসবে।
আওয়ামী লীগের পাঁচ বছরের দেশ শাসনের পর ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত সরকার গঠনের পর সারাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন চালানো হয়। ওই নির্যাতনের মদদদাতা হিসেবে বিএনপি-জামায়াত জোটের বিভিন্ন নেতার নাম পরে তদন্তে উঠে আসে।এবার ভোটের আগেও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।সতর্ক থাকবেন, সেই অপশক্তি নির্বাচনে হেরে যাবে এই ভয়ে, নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে আপনাদের উপর নির্যাতন চালাবে। দুর্বল ভেবে আপনাদের উপর আঘাত দেবে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে সুসম্পর্ক বিরাজমান, সেই সুসম্পর্ক বিনষ্টের চক্রান্ত করবে।বিএনপি-জামায়াত জোট নিয়ে সতর্ক করার পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকার জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।আপনাদের মনে রাখতে হবে, মাইনরিটিবান্ধব সরকার একমাত্র শেখ হাসিনা সরকার। আপনাদের বন্ধু, আপনাদের আপনজন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।এটা যারা বিশ্বাস করেন, এই অপশক্তিকে পরাজিত করতে হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। যদি আপনারা আপনাদের আত্মমর্যাদা আপনাদের সম্মান, এই দেশে আপনাদের অধিকার রক্ষা করতে চান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ওই অশুভ শক্তিকে পরাজিত করার শপথ আপনাদেরকে নিতে হবে।
জাতীয় ঐক্যের নামে বিএনপি সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ’ করছে বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।জাতীয় ঐক্যের নামে বিএনপি আজকে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের ডাক দিয়েছে। এই ফাঁদে আপনারা পা দেবেন না।গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের মুখে নির্বাচন না হওয়ার সম্ভাবনার বিষয়ে কাদের বলেন, একথা তারাই বলছেন, যারা এক-এগারোতে বিরাজনীতিকরণ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। তারাই আবার সেই পুরানো সুরে কে যেন ডাকে রে, আবার স্লোগান তুলছে। কাজ হবে না, ভোটের বিরুদ্ধে যারা দাঁড়াবে, জনগণই তাদের প্রতিরোধ করবে।ঢাকার পলাশী মোড়ে জন্মবার্ষিকীর শোভাযাত্রা উদ্বোধনের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কাদের।