খুলনায় ইয়াবা বিক্রির সময় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), কনস্টেবলসহ পাঁচজনকে আটক করেছে মহানগর পুলিশের (কেএমপি) একটি বিশেষ দল। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় নগরীর ফুলবাড়ীর সোনালী জুট মিল থেকে এক হাজার ইয়াবা, একটি শাটার গান ও বন্দুকের পাঁচটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন এএসআই আব্দুল্লাহ মামুন, কনস্টেবল সোহানুর রহমান, সোনালী জুট মিলের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মেহেবুব আক্তার, নাহিদ শেখ ও সোহেল বেগ।প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় তাঁরা স্বীকার করেছেন যে নিরাপদ জায়গা হিসেবে তাঁরা জুট মিলে ইয়াবা ও অস্ত্রগুলো রেখেছিলেন। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ও অস্ত্র বিক্রি করে আসছিলেন তাঁরা। কেএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মনিরা সুলতানা জানান, গতকাল রাতে ফুলবাড়ীর সোনালী জুট মিলের ডিজিএম মেহেবুব আক্তারকে আটক করে পুলিশ। পরে, তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবা বিক্রি করার সময় এএসআই আব্দুল্লাহ মামুন, কনস্টেবল সোহানুর রহমানসহ চারজনকে আটক করা হয়।
পরে সোনালী জুট মিলের ডিজিএমের অফিস থেকে এক হাজার ইয়াবা, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানায়, এই চক্রের সঙ্গে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র জড়িত রয়েছে। যাদের সহায়তায় পুলিশ সদস্যরা মিলে এই মাদক ও অস্ত্র কেনাবেচা করে আসছিল।কিছুদিন আগে খানজাহান আলী থানা পুলিশ তাদের একজনকে আটক করলেও পরে সড়ক অবরোধ এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।কিছুদিন আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো মাদক ব্যব্সায়ীদের নামের একটি তালিকায় আটক হওয়া সোনালী জুট মিলের ডিজিএম মেহেবুব আক্তারের নাম আসে।