বড় নির্বাচনে অনিয়ম হবে না- এমন নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা।তিনি বলেছেন, কোনো নির্বাচনে যদি অনিয়ম হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়। বরিশালে বেশি অনিয়ম হয়েছে সেখানে আমরা বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছি।বুধবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সিইসি।

সম্প্রতি পাঁচ সিটির নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এ ধরনের নির্বাচনে অনিয়ম হয়েই থাকে। কিন্তু সিটি নির্বাচন খুব বেশি সুখকর ছিল না- এমনটা মানতে রাজি নই। বড় বড় পাবলিক নির্বাচনে কিছু কিছু অনিয়ম হয়ে থাকে আমরা সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নিয়ে থাকি। বরিশালে বেশি অনিয়ম হয়েছে সেখানে আমরা বাড়তি ব্যবস্থা নিয়েছি। নির্বাচনে অনিয়ম হলে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার সেভাবে আমরা নিয়ন্ত্রণ করবো।

ইসির ওপর জাতির আস্থা নেই ড. কামাল হোসেনের এমন মন্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন কীভাবে দেখেন তা আমি জানি না। কোন জাতির কী পরিসংখ্যান তার কাছে আছে আমার জানা নেই। একটা কথা বলতে হলে পরিসংখ্যান দিতে হবে। জাতি কি তাকে বলেছে নাকি- ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে পারছি না’।সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের প্রস্তুতি আগে থেকেই ছিল। অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা হবে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে সংসদ নির্বাচন হবে। নিয়ম অনুযায়ী জানুয়ারির ২৮ তারিখের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি, কমিশনের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।নির্বাচনের পরিবেশ পক্ষে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এখন যে পরিস্থিতি রয়েছে এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি ভিন্ন ইস্যু। আন্দোলনকারীরা নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেনি।একাদশ সংসদ নির্বাচন করতে প্রস্তুতি আগে থেকেই নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে কে এম নূরুল হুদা বলেন, ডিসেম্বরের শেষ দিকে অথবা জানুয়ারির প্রথম দিকে সংসদ নির্বাচন হবে। নিয়ম অনুযায়ী জানুয়ারির ২৮ তারিখের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি নির্বাচন অনুষ্ঠানের অনুকূল কি না- এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, এখন যে পরিস্থিতি রয়েছে এর সাথে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি ভিন্ন ইস্যু। আন্দোলনকারীরা (নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা) নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা বলেনি।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার আগে ইটিআই ভবনে প্রতিবন্ধী ভোটারদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন করেন সিইসি। এ আয়োজনে যৌথভাবে অংশ নিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএফইএস। প্রতিবন্ধীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে গেলে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হন, যারা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী তাদের জন্য আলাদা ব্যালট পেপার ছাপানো যায় কিনা- যাতে করে তারা হাত দিয়ে প্রতীক বুঝতে পারেন এসব বিষয়ে ২০/২৫ জন প্রতিবন্ধীকে নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।