ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে বের হওয়া একটি মিছিল শাহবাগ মোড়ে পৌঁছানোর আগেই পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। জলকামান ব্যবহার করে ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে চারজনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গেছে।প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তিরা জানান, আজ সোমবার বেলা ৩টার দিকে ৩০০-৪০০ শিক্ষার্থী একটি মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে এগোতে থাকলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। জলকামান দিয়ে পানি ছোড়ে। পরে লাঠিপেটা শুরু করে।
সকাল থেকে শাহবাগ এলাকায় পুলিশের অবস্থান ছিল। বেলা একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ পর্যন্ত মিছিলটি এলে পুলিশ সতর্ক অবস্থান নেয়। বেলা তিনটার দিকে মিছিলটি শাহবাগমুখী হলে থানার সামনে এসে বাধার মুখে পড়ে। পুলিশি বাধার মুখে শিক্ষার্থীরা পিছু হটে যায়। পুলিশ এখনো ওই এলাকায় অবস্থান নিয়ে আছে।এদিকে,নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে ঢাকার রামপুরা ও আফতাবনগরে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। সোমবার বেলা পৌনে ১১টা থেকে এই সংঘর্ষের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন, হামলার শিকার হয়েছেন একজন সংবাদকর্মী। ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের সরাতে টিয়ার শেল ছুড়েছে পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নিলে মেরাুল বাড্ডার দিক থেকে একদল যুবক লাঠি নিয়ে তাদের ধাওয়া দেয়।
লাঠি হাতে যুববকদের মধ্যে বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদেরও দেখা যায় বলে স্থানীয় একজন বাসিন্দা জানান।এক পর্যায়ে ওই যুবকরা রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং সাধারণ পথচারীদের ওপর চড়াও হয়। স্কুলের পোশাক পরিহিত দুজনকে এ সময় পেটাতে দেখেন আমাদের একজন প্রতিবেদক।এক পর্যায়ে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও এপিবিএন সদস্যরাও সেখানে অবস্থান নেন। তারা শিক্ষার্থীদের চলে যেতে বললে তারা না গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে টায়ার জ্বালিয়ে দেয়।পরে পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়লে শিক্ষার্থীরা ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ভেতরে চলে যায়। লাঠি হাতে রাস্তায় অবস্থান নেওয়া যুবকরা তখনও ইউনিভার্সিটির দিকে ঢিল ছুড়ছিল।এ সময় সেখানে দায়িত্বরত প্রথম আলোর প্রতিবেদক নাসরিন আক্তার সুমির ওপর চড়াও হয় একদল যুবক। তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় তারা।পরে তাকে বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে ফোনের সব তথ্য পুলিশ মুছে ফেলে বলে অভিযোগ করেন সুমি।