বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আটটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, দুইট নবনির্মিত গ্রিড উপকেন্দ্র ও ২১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাই একটু মিতব্যয়ী হবেন। কারণ এই বিদ্যুৎ উৎপাদনে কিন্তু অনেক খরচ হয়, সেটা মাথায় রাখতে হবে।এই উৎপাদন খরচ জনগণের কাছ থেকে না নিয়ে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।বাংলাদেশের মানুষের জীবন-মান যেন উন্নত হয় সেই চেষ্টাই চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেইখানে বিদ্যুতের অপচয় যেন না হয়। যারাই বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, দয়া করে ব্যবহার শেষে নিজের সুইচটা একটু অফ করে রেখে দিয়েন, এতে আপনার বিলও কম উঠবে।
২১টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের মধ্যে দিয়ে ৭৯টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন হল। আরও ১৬১টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের অপেক্ষায় আছে বলে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।বাকী ২২০টি উপজেলা আগামী জুনের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে বলে অনুষ্ঠানে জানান বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস।গত সাড়ে নয় বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি বহুমুখীকরণ, বিদ্যুৎ আমদানির কথাও তুলে ধরেন তিনি। শোষণ, বঞ্চনাহীন, দারিদ্র্যদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে যে আমরা বিদ্যুৎ ঘরে ঘরে পৌঁছতে পারছি এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা।
একটা দেশের উন্নয়নে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন তিনি। সেটা মাথায় রেখেই সারাদেশের মানুষ যাতে শতভাগ বিদ্যুৎ পায় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।২০০৯ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ছিল ২৭টি; যা গত সাড়ে নয় বছরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২১টিতে। উৎপাদন বেড়েছে তিনগুণের কাছাকাছি।এসময়ে বিদ্যুতের আওতায় এসেছে ৪৮ থেকে ৯০ শতাংশ জনগোষ্ঠী এবং এবং মাথাপিছু বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। যারা পরিশ্রম করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ায় বিদ্যুতের ব্যবহার বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।নিজের ভ্যানে চড়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সেটাও ব্যাটারিচালিত। এই যে মানুষের পরিবর্তনটা সেটা কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি।অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বক্তব্য রাখেন।প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন জেলার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় করেন।