বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর বাসের ধাক্কায় দুই সহপাঠী নিহতের ঘটনায় বুধবার চতুর্থ দিনেরমতো আন্দোলন করছে ঢাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগ ও ঘাতক বাসচালকের ফাঁসিসহ ৯ দফা দাবিতে বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জড়ো হয়ে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান দিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এতে করে ওইসব সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া গতকাল মঙ্গলবারের মতো আজও রাজধানীতে কম বাস দেখা গেছে। বিক্ষোভে সড়ক আটকে থাকায় রাজধানীবাসীর চলাচল যেমন থমকে গেছে, তেমনি পথে পথে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
মিরপুর, শ্যামলী, মহাখালী, বিজয় সরণি, উত্তরা, ফার্মগেট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষ বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। কয়েকটি বাস এলেও তাতে সবাই উঠতে পারছেন না। ফলে জনগণ ভোগান্তিতে পড়েছেন। মানুষজনকে কর্মস্থলে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। শাহবাগ এলাকায়ও অন্যান্য দিনের তুলনায় কম বাস চলতে দেখা গেছে। শাহবাগ জোনের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার শাহেদ আহমেদও জানান, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ বাস চলাচল করছে খুব কম।
জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে উত্তরার হাউজ বিল্ডিং এবং জসীমউদ্দীন মোড়ে অবস্থান নিয়েছে থেকে উত্তরা ইউনিভার্সিটি, মাইলস্টোন কলেজ, স্কলাস্টিকা, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এসময় বিমানবন্দর উত্তরা রোডে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে ফার্মগেট ওভারব্রিজের নিচে অবস্থান নিয়েছে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকালের মতো আজও ফার্মগেটের দুইপাশের সড়কে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। তেজগাঁও থানা পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
সকাল সোয়া ১১টার দিকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং শেখ বোরহান উদ্দীন কলেজের শিক্ষার্থীরা পলাশীতে জড়ো হয়েছে। তারা জানিয়েছে তারা আজিমপুর সড়কে অবস্থান করবে। রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গত তিনদিন ধরে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পুরো ঢাকা প্রায় স্থবির। গতকাল মঙ্গলবার উত্তরা এলাকায় যাত্রীবাহী দুটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।