বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের আগের দিন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী সাদিক আবদুল্লাহকে কারণ দর্শাও নোটিস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়ের বাইরে এসে শনিবার সন্ধ্যায় ‘উঠান বৈঠক’ করার অভিযোগে নৌকার প্রার্থীকে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে।রোববার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সাদিক আবদুল্লাহকে ওই নোটিসের জবাব দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন।আওয়ামী লীগের প্রার্থী ‘উঠান বৈঠকের নামে’ শনিবার সন্ধ্যায় ‘বিশাল সমাবেশ করছেন’ বলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অভিযোগের মধ্যেই হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ওবাইদুর রহমান মাহাবুব রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, বিভিন্ন সূত্র থেকে আমরা জানতে পেরেছি, সাদিক পথসভা করছেন। তাতে লোকজনও জড়ো হচ্ছে। বিভিন্ন চ্যানেলে সেই বৈঠকের ছবি আমরা দেখেছি। পরে আমরা তাকে শোকজ করেছি।

এ বিষয়ে সাদিক আবদুল্লাহর বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে ফোনে করা হলে তিনি ধরেননি।নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘিত হচ্ছে কি না- তা দেখতে নির্বাচন কমিশনের আলাদা একটি দল রয়েছে। ওই দল সাদিক আবদুল্লাহর বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেছিল কি না- এ প্রশ্নে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, “বরিশালে অনেক অলিগলি রয়েছে। সব অলিগলিতে সবকিছু তো আমাদের একার পক্ষে দেখা সম্ভব না। আমরা যতটুকু পারছি, করছি। কিছু কিছু গ্যাপ থেকে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমাদের কাছে এসে অভিযোগ জানালে আমাদের সুবিধা হয়।নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।সব নির্বাচনেই আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকি। এ নির্বাচনে কোনো দুর্ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকে আমরা লক্ষ্য রাখছি। এ নির্বাচনের কোনো ঘটনা যেন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখেও আমরা কাজ করছি। সোমবার সিলেট ও রাজশাহীর সঙ্গে একই দিনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ভোট হবে। আওয়ামী লীগের সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বিএনপির মো. মজিবর রহমান সরওয়ারসহ মোট সাতজন এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।