নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে মঙ্গলবার (৩১ জুলাই)। ওইদিন সকাল ১১টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে গভর্নর ফজলে কবির নতুন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন। রবিবার (২৯ জুলাই) কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নতুন মুদ্রানীতিতে খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। কারণ, এই বছর জাতীয় নির্বাচনের কারণে কালো টাকার প্রবাহ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বাজারে নগদ অর্থের প্রবাহে লাগাম টানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল গত অর্থবছরের (জানুয়ারি-জুন) দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতিতে। এছাড়া ঋণ প্রবৃদ্ধি মাত্রারিক্ত বাড়ার কারণে ঋণের লাগাম টেনেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ আমানত অনুপাত কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে ব্যাংকগুলোর চাওয়া অনুযায়ী নতুন এ হার কার্যকরের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মে শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৬০ শতাংশে। আগের মাস এপ্রিল শেষে যা ছিল ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। সম্প্রতি বেসরকারি খাতে সবচেয়ে বেশি ঋণ প্রবৃদ্ধি হয় গত বছরের নভেম্বরে। ওই মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১৯ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।প্রসঙ্গত, মূল্যস্ম্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাক্সিক্ষত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বাজারে কী পরিমাণ টাকা ছাড়া হবে, তার একটি ধারণা দিতে প্রতি ৬ মাসের আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত জানুয়ারিতে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে এই বছরের জুনে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করা হয় ১৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাবে, গত মে পর্যন্ত বেসরকারি খাতে মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৯২ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। আগের বছরের মে শেষে যা ছিল ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা। এতে একবছরে ঋণ বেড়েছে একলাখ ৩৩ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা বা ১৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। গত মার্চ শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ১৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ। তার আগের মাস ফেব্র“য়ারি শেষে ছিল ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ।