বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সম্পর্কে ড. জাফর ইকবালের মন্তেব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় পরিষদ।
এ ব্যপারে পরিষদের সভাপতি ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হারুনর রশিদ এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিশ^বিদ্যালয় উপাচার্যদের নিয়োগ সম্বন্ধে ড. জাফর ইকবালের ঢালাও মন্তব্য উপাচার্যবৃন্দকে বিস্মিত ও মর্মাহত করেছে। তাঁর মতো একজন দায়িত্ববান ব্যক্তি কীভাবে এরূপ মন্তব্য করতে পারেন, সেটি ভেবে আশ্চার্যান্বিত হতে হয়। শুধু লবিং করেই যে উপাচার্য হওয়া যায় না এবং অনেক যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া শেষে যে উপাচার্য পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়, সে বিষয়টি তাঁর অজানা নয়। তাঁর ঐ বক্তব্য-মন্তব্য খোদ সরকার ও মাননীয় চ্যান্সেলরের এ সংক্রান্ত বিবেচনাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার সামিল।
তিনি আরো বলেন, ড. জাফর ইকবাল দেশের ৪২টি পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যগণের একাডেমিক প্রোফাইল কষ্ট করে একবার দেখে নিলে তিনি দেখতে পাবেন যে, তাঁর ঐ বক্তব্য কতটা অষাঢ় বা বাস্তবতা বিবর্জিত। সমাজে যারা সেলিব্রেটি হিসেবে পরিগনিত তাদের আচার-আচরণ, উচ্চারণ, মন্তব্য আরও সতর্ক ও বস্তুনিষ্ঠ হওয়া একান্ত কাম্য।
গত ২৮ জুলাই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের শিক্ষক (যদিও কথা সাহিত্যিক হিসেবে অধিক পরিচিত) ড. জাফর ইকবালের ওই বিশ^বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অনশ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সম্বন্ধে ‘যাদের কোনো যোগ্যতা নেই তারা এখন বিশ^বিদ্যালয়গুলোর ভিসি’ বলে মন্তব্য করেন। এ সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকাসহ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ফয়জুল করিম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার এসব তথ্য জানানো হয়।