বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি হিসেবে মোল্লা জালালকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে নির্বাচন কমিশন এ নির্বাচনের স্থগিত থাকা ফলাফল ঘোষণা করেন।বিজয়ী মোল্লা জালাল পেয়েছেন ৯৭৪ ভোট। অপরদিকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ওমর ফারুক পেয়েছেন ৯৭২ ভোট। দুই ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন মোল্লা জালাল। গত ১৩ জুলাই জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএফইউজের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই রাতে সভাপতির পদ ছাড়া বাকি সব পদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
সেই রাতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন বলেছিলেন, তিন প্রার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভোট পুনরায় গণনা করা হবে। সেটা করা হবে ম্যানুয়ালি (হাতে গণনা)। কিন্তু সেটা করা যাবে কি না, সে বিষয়ে শ্রম অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সেটা জানার পর আমরা জানাতে পারব কবে সভাপতি পদের ফল ঘোষণা করা হবে।এ সময় অপর নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম রতন বলেছিলেন, ‘তিন হাজারেরও বেশি ভোট পড়েছে। হাতে গণনা সময়সাপেক্ষ।
বিএফইউজে নির্বাচনে ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী,খুলনা,যশোর, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, কক্সবাজার, কুষ্টিয়া ও বগুড়ার ভোটাররাও তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ঢাকায় তিন হাজার ২৪৯ ভোটারের মধ্যে এক হাজার ৯১৮ জন তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।আগে ঘোষিত ফলাফলে মহাসচিব পদে শাবান মাহমুদ পেয়েছেন এক হাজার ৯৬০ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাকারিয়া কাজল পেয়েছেন ৭০০ ভোট।এ ছাড়া এক হাজার ১০৩ ভোট পেয়ে সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ড. উৎপল কুমার সরকার পেয়েছেন ৭৫৫ ভোট। যুগ্ম মহাসচিব পদে আবদুল মজিদ, কোষাধ্যক্ষ পদে দীপ আজাদ এবং দপ্তর সম্পাদক পদে বরুণ ভৌমিক নয়ন নির্বাচিত হয়েছেন।নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ মামুনূর রশিদ (৮৬৬), নূরে জান্নাত সীমা (৭১০), সেবিকা রানী (৬২১) ও খায়রুজ্জামান কামাল (৬১৮)।এবারের নির্বাচনে ফারুক-শাবান-দীপ এবং জলিল-কাজল-মধু পরিষদ ছাড়াও অনেকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করেন।
ফারুক-শাবান-দীপ পরিষদ থেকে সভাপতি পদে ওমর ফারুক, সহসভাপতি পদে সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, মহাসচিব পদে শাবান মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব পদে রফিকুল ইসলাম সবুজ, কোষাধ্যক্ষ পদে দীপ আজাদ, দপ্তর সম্পাদক পদে হেমায়েত হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।এ পরিষদের নির্বাহী সদস্য পদে প্রার্থী ছিলেন স্বপন দাসগুপ্ত, মফিদা আকবর, শফিউদ্দিন আহমেদ বিটু ও নুরে জান্নাত সীমা।
জলিল-কাজল-মধু পরিষদ থেকে সভাপতি পদে আবদুল জলিল ভুঁইয়া, সহসভাপতি পদে ড. উৎপল কুমার সরকার, মহাসচিব পদে জাকারিয়া কাজল, যুগ্ম মহাসচিব পদে নাসিমা আক্তার সোমা, কোষাধ্যক্ষ পদে মধুসূদন মন্ডল, দপ্তর সম্পাদক পদে বরুণ ভৌমিক নয়ন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।এ ছাড়া এই পরিষদ থেকে নির্বাহী সদস্য পদে জহুরুল ইসলাম টুকু, খায়রুজ্জামান কামাল, শেখ মামুনুর রশিদ ও আখতার জাহান মালিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।এই দুই প্যানেলের বাইরে স্বতস্ত্র প্রার্থী হিসেবে সভাপতি পদে মোল্লা জালাল, কোষাধ্যক্ষ পদে নজরুল কবির, যুগ্ম মহাসচিব পদে আবদুল মজিদ, খায়রু ল আলম, দীপংকর গৌতম, ফজলুল হক বাবু ও মানিক লাল ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক পদে রেজাউল করিম রেজা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
সদস্য পদে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন সেবিকা রানী, মীর আফরোজ জামান, আবদুল খালেক লাভলু, শামসুর রহমান ও আখতার জাহান মালিক।