কয়লা গায়েব বিষয়ে বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সম্পাদক এসএম নুরুজ্জামান বলেন, কয়লা খনিতে যে দুর্নীতি হয়েছে তার প্রধান ও অন্যতম কারণ ডিও (ডিমান্ড অর্ডার) বাণিজ্য। এ বাণিজ্যের সঙ্গে মন্ত্রী-এমপি, রাজনৈতিক নেতা ও কর্মকর্তারা জড়িত। শুত্রবার একটি দৈনিক পত্রিকার অনলাইনকে এসব কথা বলেন তিনি। নুরুজ্জামান বলেন, এসব নেতারা বিভিন্নজনের নামে কয়লার ডিও’র জন্য সুপারিশ দেন। ডিওতে কয়লার যা উল্লেখ থাকে কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ও কমিশন বাণিজ্যের জন্য তার পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে যায়। কমিশন বাণিজ্যের অর্থ সবার মাঝেই বণ্টন হয়।
এদিকে পার্বতীপুর বড়পুকুরিয়া খনি থেকে ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা গায়েব কেলেঙ্কারির ঘটনায় খনির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমদসহ ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টায় পার্বতীপুর মডেল থানায় দুর্নীতি দমন আইনের ৫(২) এবং ৪০৯ ধারায় ওই মামলা করেছেন খনির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিছুর রহমান।
অন্য আসামিরা হলেন- সাময়িক বরখাস্ত হওয়া মহাব্যবস্থাপক (মাইন অপারেশন) খালেদুল ইসলাম, সাময়িক বরখাস্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্টোর) আবুল কাশেম প্রধানিয়া, সাবেক মহাব্যবস্থাপক কোম্পানি সচিব মোশারফ হোসেন, ব্যবস্থাপক (এক্সপ্লোরেশন) মাসুদুর রহমান হাওলাদার, ব্যবস্থাপক (জেনারেল সার্ভিসেস) অশোক কুমার হালদার, ব্যবস্থাপক (প্রডাকশন ম্যানেজমেন্ট) আরিফুর রহমান, ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) জাহিদুল ইসলাম, ব্যবস্থাপক (ডিজাইন, কন্সট্রাকশন অ্যান্ড মেইনটেনেন্স) একরামুল হক, উপ-ব্যবস্থাপক (সেইফটি ম্যানেজমেন্ট) খলিলুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) মোর্শেদুজ্জামান, উপ-ব্যবস্থাপক (মেইনটেনেন্স অ্যান্ড অপারেশন) হাবিবুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক (প্রডাকশন ম্যানেজমেন্ট); জাহিদুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক (মাইন ডেভেলপমেন্ট), সত্যেন্দ্র নাথ বর্মণ, সহকারী ব্যবস্থাপক (ভেনটিলেশন ম্যানেজমেন্ট) সৈয়দ ইমাম হাসান, ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) জোবায়ের আলী, উপ-মহাব্যবস্থাপক (মাইন প্লানিং অ্যান্ড অপারেশন) আব্দুল মান্নান পাটওয়ারী, সাবেক মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) এবং গোপাল চন্দ্র সাহা, মহাব্যবস্থাপক (অর্থ ও হিসাব) এবং কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ নুরুজ্জামান চৌধুরীকে।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির প্রায় ২৩০ কোটি টাকা মূল্যমানের ১ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ টন কয়লা ঘাটতি অথবা চুরির সঙ্গে ওই ১৯ কর্মকর্তা জড়িত বলে মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে, মজুতকৃত কয়লার হিসাবের গড়মিলের বিষয়টি দুর্র্র্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) এবং ৪০৯ ধারা অনুযায়ী এজাহারভুক্ত করে তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হয়।