দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের (সি-মি-উই-ফোর) সংস্কার কাজ চলার সময় ইন্টারনেটে ধীরগতি থাকতে পারে। ক্যাবলের সিঙ্গাপুর অংশে রিপিটার প্রতিস্থাপন ও সংস্কার কাজ চলবে প্রায় সপ্তাহব্যাপী। এ কারণে ২৫ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ইন্টারনেটে ধীরগতি থাকতে পারে। এই বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল) ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, আগামী ২৫ জুলাই থেকে সি-মি-উই-ফোরের সংস্কার কাজ শুরু হবে। চলবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত। এ সময় দেশে ব্যান্ডউইথ সরবরাহে বিঘœ ঘটতে পারে। ফলে সে সময় দেশের ইন্টারনেট সেবায় ধীরগতি থাকতে পারে। তবে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (সি-মি-উই-ফাইভ) ও ছয়টি আইটিসি (ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবল) বিকল্প হিসেবে সচল থাকায় ইন্টারনেট সেবায় খুব বেশি সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।এদিকে, বিএসসিসিএল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে,‘বিকল্প ব্যবস্থা থাকায় আন্তর্জাতিক ভয়েস, ডাটা ও ইন্টারনেট সার্ভিসে উল্লেখযোগ্য কোনও সমস্যা হবে না। তারপরও রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলার সময় ইন্টারনেট গ্রাহকরা সাময়িকভাবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামান্য ধীরগতি বা এ ধরনের কিছু সমস্যায় পড়তে পারেন।জানতে চাইলে আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, আশা করি, খুব একটা সমস্যা হবে না। আমাদের পর্যাপ্ত ব্যাকআপ আছে। ব্যাকআপে যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে বড় ধরনের ভোগান্তি হতে পারে। ই-মেইল করা, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ফেসবুকিং, খবরের কাগজ পড়ার মতো কাজ করা যাবে কিন্তু কখনও কখনও তা-ও ধীরে হতে পারে। তিনি বলেন, তবে অনলাইনে গেম খেলা, অনলাইনে লেনদেন সম্পাদন ও গেমিং সার্ভার ব্যবহারে সমস্যা হতে পারে। ইউটিউব ব্যবহারে বাফারিং হবে।প্রসঙ্গত, প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সি-মি-উই-ফোর দিয়ে দেশে ব্যান্ডউইথ আসে ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড)। দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সক্ষমতা ১ হাজার ৫০০ জিবিপিএস, যদিও পুরো সক্ষমতা এখনও পায়নি বাংলাদেশ।