বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ব্রিটিশ আইনজীবী লর্ড কার্লাইলকে দিল্লি বিমানবন্দর থেকেই লন্ডনে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত। গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১০টার দিকে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা কার্লাইলকে জানান ভিসা বাতিল করায় তাঁর ভারতে প্রবেশের অনুমতি নেই। এরপর তাঁকে লন্ডনের ফিরতি ফ্লাইটে তুলে দেওয়া হয়। ভারতে লর্ড কার্লাইলের অভ্যর্থনা টিমের পক্ষ থেকে লুবনা আসিফ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সের সদস্য কার্লাইল খালেদার আইনজীবী হিসেবে প্রথমে বাংলাদেশে এসে সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ভিসা দেয়নি। এরপর তিনি দিল্লির লা মেরিডিয়ান হোটেলে ১২ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছিলেন। এতে ঢাকা থেকে বিএনপির কয়েকজন সিনিয়র নেতা ও খালেদা জিয়ার আইনজীবীদেরও যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারত সরকার কার্লাইলের ভিসা বাতিল করায় এ সংবাদ সম্মেলন পণ্ড হয়ে গেল।
ব্রিটিশ এ আইনজীবী বিএনপির নেতাকর্মীদের মতোই মনে করেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত’ এবং তাঁর বিরুদ্ধে যেসব সাক্ষ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়েছে সেগুলো ‘অগ্রহণযোগ্য’। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। এ বিষয়গুলো নিয়েই কার্লাইল সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে চেয়েছিলেন।
বিএনপি নেতাকর্মীরা অভিযোগ করছেন যে, বাংলাদেশ সরকারের আপত্তির কারণেই নাকি দিল্লি কার্লাইলকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি। ঘটনা আসলে তা নয়। কার্লাইলকে ভারতের ভিসা না দেওয়ার আসল কারণ হলো, জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা। ইসলামিক ফ্যানাটিকদের সঙ্গে কার্লাইলের যোগসাজশ পেয়েছে ভারত। ভারতের মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিম এবং তার ডান হাত হিসেবে পরিচিত ছোটা শাকিলের লন্ডনে অবস্থানের বিষয়েও এক সময় সহযোগিতা করেছিলেন লর্ড কার্লাইল। দাউদ ইব্রাহিমের মতো মাফিয়া ডন ও তাঁদের দোসরদের ব্যাপারে ভারত সরকারের অবস্থান সবসময়ই কঠোর। আর সে কারণেই লর্ড কার্লাইলকে ভারতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এই একই কারণে দুবাইয়ের আট-দশজন আইনজীবীকেও কখনো ভারতের ভিসা দেওয়া হয় না।