কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের জন্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে কানাডার হাই কমিশনের আয়োজনে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের সূত্র ধরে তিনি একথা বলেন।

মুহিত বলেন,দেশে একটা বড় ধরণের সমস্যা হয়ে যাচ্ছে (জবলেস গ্রোথ) কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধি।এবিষয়ে পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য ও বাস্তব চিত্রের মধ্যে অসামঞ্জস্য তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের কাছে ধাঁধার মতো মনে হচ্ছে যে কৃষি কাজ বা অন্যান্য সময়ে আবার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। তার মানে হচ্ছে সবাই ব্যস্ত আছে।আবার পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে দেখছি যে, কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধি হয়েছে; বেকারের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগকে (সিপিডি) কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধি নিয়ে মুক্ত বিতর্ক আয়োজনের আহ্বান জানান মুহিত।ওয়েস্টিন হোটেলে রোববার বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে আগামী বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়। বাজেট প্রস্তুতির অংশ হিসেবে অর্থবছরের শুরু থেকেই আলোচনা শুরু হয়।অর্থমন্ত্রী বলেন, এবারে বাজেটে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।অর্থবছরের একদম শুরু থেকে অর্থাৎ জুলাই থেকে কাজ শুরু করার অধিকার প্রকল্প পরিচালকের হাতে চলে গেছে।প্রকল্প পরিচালকরা এখন থেকে আগের বছরের ধারাবাহিকতায় নতুন বছরের কাজ শুরু করবেন।

গত দশ বছরে বাজেটের আকার বাড়লেও বাস্তবায়নে ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন সংসদে টানা দশটি বাজেট উত্থাপনকারী অর্থমন্ত্রী।আমরা যখন ২০০৯ সালে শুরু করেছিলাম তখন বাজেট বাস্তবায়ন ছিল ৯২ শতাংশের মতো। এটা ৮০ শতাংশের নীচে নেমে আসে।সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়নের হার বেড়েছে দাবি করে মুহিত বলেন, এটা হিসাব পাওয়ার পর বুঝা যাবে কতটা বেড়েছে। বিশেষ করে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন ৯৩ শতাংশের মতো বাস্তবায়ন হয়েছে- এটা খুবই অসাধারণ অর্জন।