দীর্ঘ দেড় যুগ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার সরাসরি ফ্লাইট চলাচল বন্ধ থাকার পর আশার বাণী শোনালেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামাল। তিনি বলেন, আমি আমেরিকায় সরাসরি ফ্লাইট চালু করতে আগ্রহী। আমরা ছোট প্লেন কেনার পর শিগগিরই আমেরিকায় সরাসরি ফ্লাইট চালুর চেষ্টা করবো।
সোমবার (২ জুলাই) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা জানান। ১৯৯৬ সাল থেকে আমেরিকায় সরাসরি ফ্লাইট চলাচল বন্ধ। আমেরিকায় ফ্লাইট নামার যে শর্ত আছে সেগুলো বাংলাদেশ পূরণ করতে পারছে না বলেই ফ্লাইট চালু হচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমি নিজেও চাই বাংলাদেশ থেকে বিমান সরাসরি আমেরিকায় যাক। কিন্তু আমাদের বোয়িং-৭৭৭ প্লেন যদি সেখানে যায় তাহলে যাত্রী পাওয়ার জন্য সেখানে অর্থাৎ, আমেরিকায় ৩-৪ দিন বসে থাকতে হয়। এজন্য আমাদের বিমানের ক্রুসহ অন্য কর্মকর্তাদের আমেরিকায় থাকতে হয়। এতে অনেক লোকসান হয়। তাই আমরা ছোট প্লেন কিনছি। আমরা ২০০-২৫০ যাত্রীবাহী প্লেন কেনার পর অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ- আমেরিকা ফ্লাইট চালু করার চেষ্টা করবো।
এদিকে,দেশে বিলুপ্তপ্রায় ফলের জাত সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১২টি দেশি ফল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্প্রসারণের জন্য দেশের ৭৫টি হার্টিকালচার সেন্টারে ১৮ লাখ ৭১ হাজার ৩শ’টি চারা/কলম উৎপাদনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। সোমবার (০২ জুলাই) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রহিম উল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, এই ১২টি ফল হলো- দেশি টক কুল, তেঁতুল, কাঁঠাল, বরিশালের আমড়া, জাম, বেল, কদবেল, ডালিম, তাল, সজিনা, বিচি কলা ও অ্যাসপারাগাস। তিনি জানান, বিলুপ্ত প্রায় ফুলের জাত সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে কৃষি গবেষণা ও কৃষি সম্প্রসারণের যৌথ উদ্যোগে গৃহীত কর্মসূচির বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমানে ফুলের চাহিদা বৃদ্ধির ফলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ফুলের চাষে চাষিদের আগ্রহ বেড়েছে। ভবিষ্যতে বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় ফলের জার্মপ্লাজমগুলো সংরক্ষণ কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করা হবে।সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বেগম সানজিদা খানমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কৃষকের উন্নয়নের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে। সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ এবং তা যথাযথ বা নবায়নের ফলেই বর্তমান সরকারের সময়ে কৃষি উৎপাদনে অসামান্য সফলতা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষকের দোরগোড়ায় সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন সার ডিলার ও ৯ জন খুচরা সার বিক্রেতা নিয়োগ করা হয়েছে। সারের ক্রয়মূল্য চার দফায় কমিয়ে সুষম সার ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি জানান, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে কৃষিকে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গবেষণার মাধ্যমে বিভিন্ন ফসলের উচ্চফলনশীল এবং প্রতীকূ পরিবেশসহিষ্ণু জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। সাশ্রয়ী মূল্যে বিদ্যুতের সেচ প্রদানে স্মার্টকার্ড প্রচলন করা হয়েছে। কৃষকদের মধ্যে কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। মাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে কৃষকের ব্যাংক হিসাব খোলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।