ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ভাটবাড়িয়া গ্রামে তাঁতি পল্লীতে দু’দফা হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে কমপক্ষে ৩০টি বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। মহিলা সহ ৫জন আহত হয়েছে, পুলিশ ৬জন কে আটক করেছে। নারী ও শিশুদের লাঞ্চিত করারও অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার সকালে ও গত রাতে এসব হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ভাটবাড়িয়া গ্রামের তাঁতপল্লীতে । গ্রাম ও সংলগ্ন বাজারে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। তাঁতপল্লী এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, সকালে একদল দুর্বৃত্ত রামদা, তরবারী, চাইনিজ কুড়াল, ঢাল-সড়কি সহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র সহ অতর্কিতে তাদের পাড়াতে ঢুকে তান্ডব শুরু করে। তারা বাড়ি-ঘর, বিদ্যুতের মিটার, দোকান-পাট ভাংচুরের পাশাপাশি নারী ও শিশুদের লাঞ্চিত করে। লুটপাট করে ঘরের আসবাবপত্র, কাপড়,গহনা সহ গোবাদি পশুও । হামলাকারীদের মধ্যে আফজাল বিশ^াস, টুটুল, মিলন বিশ^াস, রানা সহ কয়েকজনের নাম বলছে তারা । এদের নেতৃত্বে আরোও হামলাকারী ছিল বলে তাঁতপল্লীর বাসিন্দারা জানিয়েছে। হামলাকারীরা তাঁতপল্লীর জামাল, মোস্তফা, বাবু, মোক্তার, রেজাউল, আক্তার, মেজর, মহিউদ্দিন, মিজানুর বিশ^াস, আমিনুর বিশ^াস, রফি বিশ^াস, গাফফার মোল্লা, সমির ঢালি, রবিউল ঢালি, সোনাই ঢালি, ফজো জোয়ার্দ্দার, মনসের মেলৈভী, মজনু, সাত্তার মহাজন, রেজাউল, আজিজুর রহমান, আতিয়ার বিশ^াস, মতিয়ার বিশ^াস, সাত্তার(২), সাইদ মোল্লা, সামাদ মোল্লা, সোহেল মোল্লা সহ আরো কয়েকজনের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে। ভাংচুর ও লুট করা হয়েছে দোকান-পাট। তাঁতপল্লীর মোস্ত বিশ^াসের স্ত্রী মুক্তি খাতুন, বাবু বিশ^াস জানায়, দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে তাদের বাড়ি-ঘর সহ পাড়ার ৩০টির বেশী বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। হামলায় আহত হয়েছে শরিফুল, রফিউল, মাওলা, রিপন, শাহেরা খাতুন সহ কয়েকজন। পুলিশ আজিজুর রহমান মেম্বর, সামাদ, জনি,মশিয়ার রহমান, গোলাম মাওলা ও আব্দুল মালেক কে আটক করেছে। শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) আলমগির হোসেন জানায়, এলাকায় সামাজিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে স্থানীয় সারুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহামুদুল হাসান মামুন সমর্থিতত আফজাল-রানা ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ভাটবাড়িয়া গ্রামের আজিজর রহমান গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এসবের জের ধরে তাঁতপল্লীতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে আজিজুর রহমান কে কুপিয়ে আহত করেছিল সামাজিক প্রতিপক্ষরা। থানার সেকেন্ড অফিসার ইমদাদ হোসেন জানান, এলাকায় পুলিশি টহল দেয়া হচ্ছে । দীর্ঘদিন ধরে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার প্রতিপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে, এসবের কারনে প্রায়শ^ই ঐ এলাকায় দাঙ্গা, হানাহানি, কাইজ্যা, হামলা চলছে বলেও পুলিশ জানিয়েছে।