মিয়ানমার রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রত্যাবাসনের সিদ্ধান্ত না নেয়া পর্যন্ত দেশটির ওপর চাপ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস। বাংলাদেশ সফরের প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে একথা জানান তিনি। বৈঠকে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার ঘোষণা দেন। আগামীকাল কক্সবাজারে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে পরিদর্শন করবেন সফররত দুই সংস্থার প্রধান।
রোববার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস। এ সময় রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিয়ে কথা বলেন তারা। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস সচিব জানান, ১০ লাখ রোহিঙ্গার নিরাপদ, স্বাচ্ছদ্য এবং মর্যাদাসম্পন্ন প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকবে সংস্থাগুলো।
পরে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন দুই সংস্থার প্রধান। উন্নয়ন সহযোগী ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির প্রশংসা করেন তারা। এতে অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে অভিযাত্রা উদযাপন কালে এ দুই সংস্থা প্রধানের আগমন বাড়তি মাত্রা যোগ করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ‘বর্তমানে আমরা দ্রুত বর্ধনশীল একটি যুগে বসবাস করছি। বিশ্বায়নের এই সময়ে কোনো দেশ একা কাজ করতে পারে না। কোনো দেশের হুমকি বা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সব জাতি ও সংগঠনকে ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে একসাথে কাজ করতে হবে।’
দুপুরে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম পরিদর্শন করেন জাতিসংঘ এবং বিশ্বব্যাংক প্রধান। এ সময় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তারা।
এর আগে শনিবার (৩০ জুন) দিবাগত রাত পৌনে দুইটায় কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমানে বাংলাদেশে পৌছান অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,সংকট সৃষ্টিকারী মিয়ানমারকেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এটুকু বলতে চাই, রোহিঙ্গা সংকট তৈরির জন্য দায়ী মিয়ানমারই। তাই রোহিঙ্গাদের পূর্ণ মর্যাদা দিয়ে ফিরিয়ে নেয়া এবং সংকট সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে মিয়ানমারকেই।’
সফরের দ্বিতীয় দিন সোমবার (২ জুলাই) কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ও জাতিসংঘ মহাসচিব।