লিবিয়ার উপকূলে নৌকাডুবির ঘটনায় তিন শিশুসহ ১০০ জন অভিবাসী ও শরণার্থী নিহত হয়েছেন। উন্নত জীবনের আশায় তারা সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাচ্ছিলেন। শুক্রবার নৌডুবির পর মাত্র ১৬ জনকে উদ্ধার করতে পেরেছে লিবিয়ার কোস্টগার্ড, আইওএম। উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মুখপাত্র ক্রিস্টিন পিটার জানান, লিবিয়ার উপকূলে নৌযান ডুবির ঘটনায় ১০০ বা তার বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিন শিশুও রয়েছে।

আইওএমের মুখপাত্র ক্রিস্টিন পিটার সিএনএনকে বলেন, পাঁচ বছরের কম বয়সী তিন শিশুর মৃতদেহ আমরা উদ্ধার করেছি। কতজন নিখোঁজ আছে বা মারা গেছে, আমরা জানি না। আইওএম জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে চিকিৎসকদের পাঠানো হয়েছে। মানবিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। পৃথক ঘটনায় লিবিয়ার কোস্টগার্ড প্রায় ৩৪৫ অভিবাসীকে উপকূলে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে।

ভূমধ্যসাগরকে এরইমধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সীমান্ত আখ্যা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন। সংস্থাটির হিসেবে গত বছর এই পথ দিয়ে উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যেতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে ৩ হাজার ১১৬ জন। দীর্ঘ সময় বিতর্ক শেষে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে এক বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের ঐক্যমত্যের খবরের মধ্যেই লিবিয়া উপকূলে এই প্রাণ হারানোর খবর পাওয়া গেল।