নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হয়ে দায়িত্বশীল একজন রাষ্ট্রদূতের কথা বলা দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। জাতীয় প্রেসক্লাবে শুক্রবার সকালে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের অনেক দুঃখ হয় যখন দেখি, বিএনপি এমন মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হয়ে যখন কোনো দায়িত্বশীল বিদেশি রাষ্ট্রদূত একই সুরে কথাবর্তা বলেন। আমি বিনয়ের সঙ্গে তাদের প্রতি অনুরোধ করবো, বিএনপির মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হয়ে তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে নির্বাচন ইস্যুতে অহেতুক মন্তব্য থেকে বিরত থাকবেন।’

বিএনপির কথা আমলে নিয়ে কথা বললে জনগণ বিভ্রান্ত হয় বলেও মনে করিয়ে দেন খাদ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘এমন কথাবর্তা বললে, আপনাদের (মার্শা বার্নিকাট) সম্পর্কে জনগণের নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়। আমি অনুরোধ করবো, এসব থেকে আপনারা বিরতি থাকবেন।’

একই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের হস্তক্ষেপ কাম্য নয় বলে মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রের জন্য একটি সুন্দর রাজনৈতিক পরিবেশ দরকার। খুলনায় এবং গাজীপুরে বেশ কিছু অনিয়মের খবর পেয়েছি। নির্বাচনের দিন এবং তার আগে পোলিং এজেন্টদের গ্রেফতার করা হয়েছে, বিরোধী দলের সমর্থকদের হয়রানি করা হয়েছে, ব্যালট বক্স নিয়েও অনিয়মের কথা শোনা গেছে। পুলিশ বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব ব্যাপার আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে।

সামনেই ৩ সিটির পাশাপাশি রয়েছে জাতীয় নির্বাচনও। এসব নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা করছে তার দেশ ? প্রশ্ন ছিলো বার্ণিকাটের কাছে।