মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আরেকটি আলোচিত বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। তিনি আগামী মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। হোয়াইট হাউস ও ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকটি হবে আগামী ১৬ জুলাই। বৈঠকের স্থান ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকি।

১২ জুন সিঙ্গাপুরে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে বহুল আলোচিত বৈঠক করেন ট্রাম্প। এই বৈঠক ঘিরে বিশ্ববাসীর মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। সবার নজর ছিল সিঙ্গাপুরে। আলোচনার মধ্যমণি হয়ে উঠেছিলেন ট্রাম্প ও কিম। এবার রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসে নতুন আলোচনার জন্ম দিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প।

হোয়াইট হাউস ও ক্রেমলিন জানিয়েছে, দুই নেতা তাঁদের মধ্যকার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন। দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক আলোচনায় স্থান পাবে। এখন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক মোটেই ভালো যাচ্ছে না। এমন একটি প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট মুখোমুখি বৈঠকে বসছেন।

ট্রাম্প-পুতিনের আসন্ন বৈঠককে স্বাগত জানিয়েছেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টোলটেনবার্গ। তিনি বলেছেন, ‘সংলাপ শক্তিমত্তার প্রতীক। আমরা নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধ চাই না। আমরা রাশিয়াকে একঘরে করতে চাই না। আমরা রাশিয়ার সঙ্গে অপেক্ষাকৃত ভালো সম্পর্কের জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করতে চাই।’

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠকের বিষয়ে দুই দেশের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি সিরিয়া যুদ্ধ ও ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন। এ ছাড়া আরও অনেক বিষয়ে কথা বলতে চান তিনি। হেলসিংকির বৈঠকের মধ্য দিয়ে মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে নতুন করে সংলাপের দুয়ার খুলবে বলে আশা রাশিয়ার।

হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই বৈঠকে বসছেন। সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে রাশিয়ার আগ্রহের বিষয়টিও দেখতে চান তিনি। এই বৈঠক উত্তেজনা কমাবে বলে আশা ট্রাম্পের।

আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ফাঁকে আগে দুবার সাক্ষাৎ করেছেন ট্রাম্প ও পুতিন। এ ছাড়া তাঁরা অন্তত আটবার ফোনে কথা বলেছেন। তাঁরা একাধিকবার পরস্পরের প্রশংসাও করেছেন। ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠকটি যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে পরিচিত যুক্তরাজ্য ও ইউক্রেনের জন্য বিরক্তির কারণ হতে পারে। কারণ, তারা পুতিনকে একঘরে করতে চায়।