বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা ১২তম দিনে আন্দোলন করে যাচ্ছেন।শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা ও আলাদা কমিটি গঠন করা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। এদিন জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্যদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ।

এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের বিপরীত পাশে খোলা আকাশের নিচে বসে বিক্ষোভ করছেন আন্দোনকারী শিক্ষক-কর্মচারীরা। সকাল থেকেই তাদের অবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত শিক্ষক-কর্মচারীরা এ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। এক দফা এক দাবি, এমপিও কবে দিবি’ -এমন স্লোগান লেখা প্লাকার্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার ঝুলিয়ে তারা বিক্ষোভ করে যাচ্ছেন।নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার বলেন, সরকারি হিসাব অনুযায়ী সারাদেশে ৫ হাজার ২৪২টি নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি) এমপিওভুক্তির আওতায় আনতে আমরা আন্দোলন করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ২৭ দফায় শিক্ষক-কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির দাবিতে রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছেন। প্রতিবারেরই শিক্ষামন্ত্রীসহ নানা মহলের আশ্বাস নিয়ে আমরা বাড়ি ফিরলেও আজও তা বাস্তবায়ন হয়নি। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় আমরা ক্লাসে ফিরে যাই। নতুন বাজেটে আমাদের বিষয়ে অর্থ বরাদ্দ দেয়ার কথা থাকলেও এমপিওভুক্তির বাস্তব কোনো পদক্ষেপ নেই। তাই বাধ্য হয়েই ঈদের দিনসহ টানা ১২দিন ধরে আমরা রাজপথে বসে আন্দোলন করছি।আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলেন, বেসরকারি শিক্ষকদের যোগদানের বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হয়েছে। আমরা ১৮ থেকে ২০ বছর ধরে শিক্ষাকতা করছি। এখন যদি ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয় তবে আমাদের কী পরিণতি হবে?
দাবি আদায়ে আগামী ২২ জুন রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, ২৩ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন, ২৪ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান ২৫ জুন সোমবার থেকে আমরণ অনশন পালনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।