বরগুনায় ঢাকাগামী লঞ্চে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদের পড়ে যাত্রীরা ফিরতি পথে লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার তিনচারগুন অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঢাকা উদ্দেশ্য বরগুনা ঘাট ত্যাগ করেছে। এসময় লঞ্চে যাত্রী উঠার সময় দুই লঞ্চের চাপে পড়ে সাহানা ইসলাম(৪৫) এক নারী যাত্রীর পা কেটে গেছে।
এসময় ওইযাত্রীকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এদিকে, এ দূঘটনা তদন্ত করে আইনুানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে বরগুনা বন্দর ও পরিবহন কর্মকতা মামুনুর রশিদ জানান।এঘটনা শোনা সাথে বরগুনা জেলা প্রশাসক সাথে সাথে সহকারি কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেটকে ঘাট দ্রুত পাঠান। শোনার সাথে সাথেই বরগুনা পুলিশ সুপার লঞ্চঘাটে চলে আসেন তারা ঘাটে এসেই লঞ্চগুলো ঘাট ত্যাগ করান।বরগুনা লঞ্চঘাটে দুপুর ১২ দিকে গিয়ে দেখা যায়,বরগুনা লঞ্চঘাটে এমভি পূবালী-১,এমভি যুবরাজ-৪ ও কিং স¤্রাট লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রীতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীরা জানান,বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে বরগুনা লঞ্চঘাটে কিং স¤্রাট লঞ্চে ছেড়ে যাবার সময় এক নারী যাত্রী উঠার চেষ্টা করলে ঘাটে বেধে রাখা এমভি যুবরাজ-৪ লঞ্চে মধ্যে পড়ে সাহানা ইসলাম(৪৫) এক নারী যাত্রী পা কেটে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান,এমভি যুবরাজ-৪ লঞ্চে থেকে বরগুনা ঘাট ত্যাগ কিং স¤্রাট লঞ্চে উঠার সময় ওই নারী যাত্রী দুই লঞ্চের মধ্যে চাপা পড়ে পা কেটে যায়। এসময় ঘাটে অবস্থানরত যাত্রীর উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কিং স¤্রাট লঞ্চে মালিক মাসুম খান বলেন,যাত্রীদের অসাবধানতার কারনে এ দূঘটনা ঘটেছে। এতে লঞ্চে কোন ব্যর্থতা ছিলনা। ওই যাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বরগুনা বন্দর ও পরিবহন কর্মকতা মামুনুর রশিদ বলেন,দুই লঞ্চে মধ্যে পড়ে এক নারী যাত্রীর পা কেটে গেছে। আমরা এ দূঘনটনা তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনাুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন লঞ্চ ঘাট ত্যাগ করা সময় কোন অতিরিক্ত যাত্রী নেয়নি।বরগুনা জেলা প্রশাসক মো.মোখলেছুর রহমান বলেন,কোন লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিতে দেওয়া হবেনা। নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট দিয়ে মোবাইল কোট পরিচালনা করা হচ্ছে।