‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখ’ গানের ¯্রষ্টা তারুণ্য ও সংগ্রামের কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বৃহস্পতিবার ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলাদেশের কবিতায় অবিস্মরণীয় এই কবির শিল্পমগ্ন উচ্চারণ তাঁকে দিয়েছে সত্তরের অন্যতম কবির স্বীকৃতি। ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
দিনটির স্মরণে বৃহস্পতিবার সকালে রুদ্র স্মৃতি সংসদ’ কবির গ্রামের বাড়ি বাগেরহাটের মোংলার মিঠাখালীতে শোভাযাত্রা, সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।এ ছাড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মোংলা শাখা ও মোংলা প্রেসক্লাব সন্ধ্যা ৬টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে কবির স্মরণে স্মরণসভার আয়োজন করেছে। স্মরণসভা শেষে রুদ্রের কবিতা আবৃত্তি ও রুদ্রের গান পরিবেশিত হয়।
পাশাপাশি কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রুদ্রসমগ্র’ নামে কবির জীবনী, সব সৃষ্টি, আলোকচিত্র, গান ইত্যাদি নিয়ে তৈরি হয়েছে ওয়েবসাইট িি.িৎঁফফৎড়সং.পড়স।অকালপ্রয়াত এই কবি নিজেকে মিলিয়ে নিয়েছিলেন আপামর নির্যাতিত মানুষের আত্মার সঙ্গে। সাম্যবাদ, মুক্তিযুদ্ধ, ঐতিহ্যচেতনা ও অসাম্প্রদায়িকবোধে উজ্জ্বল তাঁর কবিতা। ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন’Ñএই নির্মম সত্য অবলোকনের পাশাপাশি উচ্চারণ করেছেন অবিনাশী স্বপ্ন ‘দিন আসবেই দিন সমতার’। একই সঙ্গে তাঁর কাব্যের আরেক প্রান্তর জুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা। মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং অর্ধশতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন।উপদ্রুত উপকূল’ ও ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম কাব্যগ্রন্থ দুটির জন্য সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পর পর দুই বছর মুনীর চৌধুরী’ সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি উদ্যোগী ভূমিকা পালন করেন।