হায়রে অভিমান?। নওগাঁয় পিতা-মাতার উপড় অভিমান করে পরিবার ও প্রতিবেশীদের সামনেই ঘড়ের দরজা বন্ধ করেই গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে জীবন দিল সেফাতআরা ওরফে মুনি (২২) নামের এক সুন্দরী ও মেধাবী বি, বি এ পাশ যুবতী। প্রকাশ্যে মর্মান্তিকভাবে জীবন দেয়ার ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮ টারদিকে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটামোড় পুলিশ ফাঁড়ি এলাকার (সরস্বতীপুর) শ্যামপুর গ্রামে।
স্থানিয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাসানুজ্জামান তরফদার স্বপন ও স্থানিয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শ্যামপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের শিক্ষিত ও সুন্দরী মেয়ে বি, বি এ পাশ যুবতী সেফাতআরা ওরফে মুনি (২২) আজ শুক্রবার সকালে মায়ের সাথে পার্শ্বের গ্রামে বেড়াতে যায়, এক পর্যায়ে বেড়িয়ে বাড়িতে এসে সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮ টারদিকে মা ও পরিবার ও প্রতিবেশীদের সামনেই জীবন ছেড়ে দেয়ার কথা বলেই তার নিজ শোবার ঘড়ের দরজা বন্ধ করে ভেতরে ঢুকলে এসময় তার মা সহ পরিবারের ও প্রতিবেশী লোকজনরা ঘড়ের দরজা ভাঙ্গা শুরু করেন। কিন্তু দরজা ভাঙ্গার আগেই ঘড়ের তীরের সাথে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়েন মেধাবী শিক্ষার্থী সেফাতআরা ওরফে মুনি (২২) নামের এই যুবতী। পরিবার ও প্রতিবেশীদের সামনেই জীবন দিলেন সুন্দরী ও মেধাবী শিক্ষার্থী সেফাতআরা ওরফে মুনি।
এ ব্যাপারে মহাদেবপুর থানার এস আই মোঃ আলহাজ্ব হোসেন জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ঝুলন্ত মৃতদেহ নামিয়ে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোট অন্তে থানায় একটি ইউডি মামলা নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, যেহতু লোকজনের সামনেই ঘড়ের দরজা বন্ধ করে আতœাহত্যা করেছে সেই কারনে মৃতদেহ ময়না তদন্তর জন্য উদ্ধার করা হয়নি ।
মেধাবী ও সুন্দরী এ যুবতীর গলায় ওড়না পেচিয়ে আতœহত্যার মূল কারন প্রশাসন বা স্থানিয় জনপ্রতিনিধি কেই না জানাতে পারলেও স্থানিয়দের ধারণা কলেজ লাইফ থেকেই সেফাতআরা ওরফে মুনি এক যুবক শিক্ষার্থীর সাথে প্রেম করতো এবং প্রায়ই সেফাতআরা ওরফে মুনি তার পিতা ও মাতাকে জানাত যে, তার জন্য একটি চাকুরীর ব্যবস্থা করতে হবে, না পাড়লে কয়েক লাখ টাকা হবু জামাই বা প্রেমিকের জন্য দাবী করেও আসছিল। কিন্তু দরিদ্র ইসমাইল হোসেন মেয়ের জন্য চাকুরী বা মেয়ের প্রেমিকের সাথে বিয়ে দেয়ার টাকা কোনটায় ব্যবস্থা করতে না পারায় সে আজ এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলেই স্থানিয়রা ধারনা পোষন করছেন।
অপরদিকে, ঘটনার কিছু অংশর সত্যতা নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য আবুল কালাম প্রতিবেদককে বলেন, মেয়েটি বি বি এ পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে এবং মাঝে মাঝেই সে তার পিতা ও মাতাকে বিয়ে দেয়ার জন্য চাপ দিতেন একারনে প্রতিবেশীরা মেয়েটিকে মানুষিক রোগী বলেই জানে। কারন মানুষিক রোগী না হলে পিতা ও মাতাকে মেয়ে নিজের বিয়ের কথা বলত না বলেও জানান ইউপি সদস্য। তবে সেফাতআরা ওরফে মুনির অকালে ঝড়ে যাওযার ঘটনায় গ্রামের লোকজন সহ স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।