চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতু এলাকা এবং এ কে খান মোড়ে দুই দুর্ঘটনায় পাঁচজনের প্রাণ গেছে।এর মধ্যে বাকলিয়া থানাধীন শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন এলাকায় ট্রাকচাপায় দুই নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়; আহত হন অন্তত আরও নয়জন।আর এ কে খান মোড়ে কভার্ড ভ্যানের চাপায় মারা যান এক পরিবহন শ্রমিক।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আমির উদ্দিন বলেন, বাকলিয়ার ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে।একটি সিমেন্টবাহী ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে থাকা কয়েকটি রিকশা ও অটোরিকশাকে চাপা দেয়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহ আমানত সেতুর অদূরে মেরিনার্স সড়কের প্রবেশ মুখে যেখানে এ দুর্ঘটনা ঘটে, সেখানে বেশ কয়েকটি রিকশা ও অটোরিকশা যাত্রীর অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিল। টেম্পোতে ওঠার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন অনেকে। ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই ভিড়ের মধ্যে উঠে পড়ে। নিহতদের মধ্যে তিনজন হলেন নাসরিন আক্তার (৩৫), হাসিনা (৪০) ও শাহপরান (২৮)।আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সী আরেকজন পুরুষের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।এছাড়া আহত আবদুস সাত্তার (৪০), ইমরান (৬), আবদুর রহমান (৪০), অনিল বড়ুয়া (৪৫), শারমিন আক্তার (২৩), রিগান (৩৩), সিফাত (১৬), দিদার (৩০) ও জাহাঙ্গীর আলমকে (৪৫) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর বলে নায়েক আমির উদ্দিন জানান।এদিকে বাকলিয়ার এই দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে সকাল ৮টার দিকে এ কে খান মোড়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় কভার্ড ভ্যান চাপা পড়েন সিরাজুল ইসলাম (৬০) নামে এক পরিবহন শ্রমিক।
তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানান।সিরাজুল কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার তেলিগ্রাম এলাকার মহব্বত আলীর ছেলে। তিনি সিডিএম পরিবহন নামে একটি পরিবহন সংস্থার সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতেন।