মাদকবিরোধী অভিযানে টেকনাফের যুবলীগ নেতা ও পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক নিহত হওয়ার ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, যদি তিনি (একরামুল হক) নিরপরাধ হন, তাহলে দোষীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের অভিযানে দুই-একটি ভুল হতেই পারে।শনিবার সকালে রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নারীদের জন্য ‘দোলনচাঁপা’ বাস উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।

চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে শতাধিক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন তুলেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। টেকনাফের যুবলীগ নেতা একরামের পরিবার অভিযোগ করেছে, তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।একরামের মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক চলমান মাদকবিরোধী অভিযানকে প্রশ্নের মুখোমুখি করল কি না- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে কাদের বলেন, একরাম আমাদের পার্টির একজন কর্মী। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটা বক্তব্য দিয়েছেন। এরপর আমার মনে হয় কিছু বলা উচিৎ নয়। তথ্য প্রমাণ ছাড়া আমি কিছু বলতে পারছি না।

একরামুল হকের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি সে নিরাপরাধ হয় তাহলে দোষিদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। কিন্তু যেই অপরাধী হোক না কেন, সরকার কাউকে ছাড় দেবে না।এই অভিযানের সমালোচনাকারীদের অন্য ‘মতলব’ রয়েছে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।এ ধরনের একটা বড় কাজে, যা দেশের সর্বস্তরে প্রশংসা কুড়িয়েছে। এখন একটি মতলবী মহল এর বিরোধিতা করছে ¯্রফে রাজনৈতিক কারণে। রাজনৈতিক বিরোধিতার খাতিরেই বিরোধিতা হচ্ছে। সরকারের প্রতিপক্ষরাই বিরোধিতা করছে।তিনি বলেন, আজকে যারা সমালোচনা করে এ অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান, তারা কিন্তু মাদক নিয়ে একটা কথাও উচ্চারণ করেন নাই।এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, একরাম আমাদের পার্টির একজন কর্মী, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটা বক্তব্য দিয়েছেন। এরপর আমার মনে হয় কিছু বলা উচিত নয়। তিনি বলেন, এ ছাড়া তথ্যপ্রমাণ ছাড়া একরামুল যে নির্দোষ, সে বিষয় নিয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। কিন্তু যে-ই অপরাধী হোক না কেন, সরকার কাউকে ছাড় দেবে না। সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, এ অভিযানে যদি কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হয়, তাহলে অবশ্যই এ ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। এই অভিযানে যারা জড়িত, তাদের রেহাই দেওয়া হবেÑএটা মনে করার কোনো কারণ নেই।

একরামুল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের একজন পরীক্ষিত নেতা ছিলেন। তিনি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেন। এটা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফসল কি নাÑসাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখানে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের আলামত আমরা পাইনি। যেটা হয়েছে, সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখানে কি সে ভিকটিম হয়ে গেল? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কোনো নিরীহ ব্যক্তি হামলার শিকার হয়, সরকার কোনো প্রকারের ছাড় দেবে না। অন্যায় হলে তার বিচার হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ধরনের একটা বড় কাজ, যা দেশের সর্বস্তরে প্রশংসা কুড়িয়েছে,এখন একটি মতলবি মহল এর বিরোধিতা করছে ¯্রফে রাজনৈতিক কারণে।রাজনৈতিক বিরোধিতার খাতিরেই বিরোধিতা হচ্ছে। সরকারের প্রতিপক্ষরাই বিরোধিতা করছে। কিন্তু যাদের জন্য অভিযান, তারা খুবই খুশি। তিনি বলেন, সুনামির মতো মাদক দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। সেই অবস্থায় শুধু ক্যাম্পেইনে মাদকের ¯্রােত থামানো যাচ্ছে না। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, এ দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ কিন্তু মাদকবিরোধী অভিযানের বিরুদ্ধে সামাজিক জনমত গড়ে তোলার কথা বলেননি।ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে যাঁরা সমালোচনা করে এ অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চান, তাঁরা কিন্তু মাদক নিয়ে একটা কথাও উ”চারণ করেননি। রাজনীতি ছাড়া এ দেশে আমাদের আর কিছু বলার নাই? তরুণ সমাজ মাদকের জন্য ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমরা কি কিছুই বলব না? এটা কোন রাজনীতি? যে রাজনীতি শুধু প্রতিপক্ষকে গালিগালাজ করে, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ায়। অথচ সমাজে যে বিদ্বেষ ছড়িয়ে পডছে, বাতাস, পানি দূষিত হচ্ছেÑএর বিরুদ্ধে বলে না। রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করে মানুষের জন্য।বেসরকারি প্রতিষ্ঠান র‌্যাংগস গ্র“প রাজধানীতে মহিলা বাস সার্ভিস ‘দোলনচাঁপা’ নিয়ে এসেছে। এ বাসটি রাজধানীর মিরপুর ১২ নম্বর থেকে ফার্মগেট, শাহবাগ, গুলিস্তান হয়ে মতিঝিল চলাচল করবে।র‌্যাংগস গ্র“পের চেয়ারম্যান আবদুর রউফ চৌধুরী, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।