পিরোজপুরের কাউখালীতে হঠাৎ করেই ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। গত ১১দিনে শুধু কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সই ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ। বেসরকারীভাবে এ সংখ্যা দুইগুন। হাসপাতালে কলেরা, খাবার স্যালাইন ও সঙ্কট রয়েছে। ফলে রোগীর স্বজনদের বাইরে থেকে উচ্চমূল্যে এসব ওষুধ কিনতে হচ্ছে।
কাউখালী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হঠাৎ করেই ডায়ারিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে।জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১২ জন।গত শনিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ভর্তি হন ১১৯ জন ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত রোগি।এর মধ্যে ৫১জন পুরুষ,৪৮জন মহিলাএবং ২১জন শিশু। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডায়রিয়ার ওয়ার্ডে বেডের সঙ্কট থাকায় রোগীদের হাসপাতালের বারান্দায় থাকতে হচ্ছে। রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতাল থেকে কোনো ওষুধ সরবরাহ করছে না। বাইওে দোকানেও স্যালাইন না পাওয়ায় পাশর্^বর্তী জেলা শহর থেকে উচ্চ মূল্যে কিনে আনতে হচ্ছে।চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও খাবার পানির সমস্যা থেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। এসময় মানুষকে বিশুদ্ধ পানি পানসহ খাবার গ্রহণে সর্তক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
শিশু মনির মা হাসিনা বলেন, বাচ্চার তিন দিন ধরে ডায়রিয়ায় ভুগছে। হাসপাতাল থেকে কিছুই দিচ্ছে না। খাবার স্যালাইনও বাইরে থেকে কিনতে হয়। একই কথা জানান চিরাপাড়ার কামাল হোসেন ও জাফরের স্বজনরা।এবিষয়ে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা:ছিদ্দিকুর রহমান আইভি ও খাবার স্যালাইন সঙ্কটের কথা স্বীকার করে বলেন, আবহাওয়াজনিত কারণ, অপরিষ্কার-অপরিছন্ন খাবার ও পুষ্টিহীনতার কারণে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।