পবিত্র রমজান মাস ও সেশন জট বিবেচনা করে পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছেন কোটা আন্দোলনকারীরা।তবে কোটা বাতিলে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মারধর, নির্যাতন ও হলত্যাগের হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।একটি ‘অতি উৎসাহী ও কুচক্রী মহল’ সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য এসব নোংরা ও ঘৃণ্য কাজ করে যাচ্ছে।সংবাদ সম্মেলনে কোটা আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং যথাসময়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত ঘটনার কারণ দর্শানোর নামে সাধারণ ও নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানানো হয়।হাসান আল মামুন বলেন, রমজান মাস ও সেশন জটের কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা বর্জনের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করা হলো। তবে কোটা বাতিলে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন কর্মসূচি আগের মতো চলমান থাকবে।কুচক্রী মহল ও অতি উৎসাহী’ কারাÑসাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক বলেন, ছাত্রলীগের একটি অনুপ্রবেশকারী দল সাধারণ ছাত্রদের হয়রানি করছে। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করে, তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।নুরুল হক বলেন, বিচার না হওয়ার কারণে তারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে। তাদের বিচার না হওয়াতে আমরা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি যে সরকার তাদের উৎসাহ দিচ্ছে কি না।সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হোসেন প্রমুখ।