আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে আবারও আগামী দিনের জন্য নতুন নেতৃত্ব দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন টানা ৩৭ বছর ধরে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পিতবার (১৭ মে) ৩৭তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে গণভবনে আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের শুভেচ্ছা গ্রহণের পর তিনি এই কথা বলেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ২০তম জাতীয় কাউন্সিলে তাকে পুনরায় দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ১৯৮১ সালের ১৭ দেশে ফেরার পর থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা টানা ৩৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সভাতির দায়িত্ব বহন করে চলেছেন।
এ ছাড়াও ২ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে দলের ২০তম জাতীয় সম্মেলনের আগে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার তো ৩৫ বছর হয়ে গেছে। আমাকে যদি রিটায়ার করার সুযোগ দেয় তাহলে আমি সব থেকে বেশি খুশি হবো। ৩৭ বছর হয়ে গেছে… একটা দলের সভাপতি হিসাবে ৩৭ বছরের বেশি থাকা বোধ হয় সমীচীন হবে না। সেদিনও শেখ হাসিনা হেসে বলেন, নতুন নেতৃত্বের কথা ভাবা উচিত। যতক্ষণ আছি… সংগঠনকে শক্তিশালী করা দরকার।’
সরকারের বিভিন্ন কাজের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছি। আর একটা শ্রেণি আছে, তাদের কিছুই ভালো লাগে না। তারা মিলিটারি ডিক্টেটরদের পা চেটে চলত। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে তারা ডেমোক্রেসি দেখে না। বুটের লাথি খেলে ভালো লাগে। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছে, তাদের আমলে ডেমোক্রেসি থাকে।
নেতা-কর্মীদের প্রতিকূলতা পেরিয়ে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বারবার বাঁধা এসেছে, আসবে; এটাই স্বাভাবিক। হত্যার (বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা) বিচার করেছি। ষড়যন্ত্রের তদন্ত হয়নি, বিচার হয়নি। মৃত্যুকে আমি অনেক কাছ থেকে দেখেছি। মৃত্যুকে আমি পরোয়া করি না।
যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে যারা সাক্ষী দিয়েছিল, তারা যেন কোনোভাবেই নির্যাতনের শিকার না হন সে বিষয়েও নেতা-কর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, সবাইকে নজর রাখতে হবে; যারা সাক্ষী দিয়েছে, তাদের ওপরও কিন্ত অত্যাচার হয়েছে। এমন বহু ঘটনা আমার কাছে এসেছে। সাক্ষীদের অত্যাচারের সঙ্গে জড়িতদের ‘ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট’ হবে বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
তার আগে প্রধানমন্ত্রীকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, তাঁতী লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, ছাত্রলীগ এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা একে একে শুভেচ্ছা জানান।