সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাসী পারভীন তালুকদার মায়া’র কোটচাঁদপুরের সমাবেশে বিরিায়ানি খেয়ে আবারো পাঁচ শত মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আক্রান্তরা স্থানীয় হাসপাতাল , ক্লিনিক ও বাড়ীতে চিকিৎসা নিচ্ছে। হাসপাতালে প্রায় একই সাথে আড়াই’শত রোগী ভর্তি হওয়ায় হাসপাতলের ডাক্তার ও কর্মিরা হিমসিম খাচ্ছে। কর্তব্যরত ডাক্তাররা জানিয়েছেন এখনো রুগি হাসপাতালে আসছে।
জানা যায়, কোটচাঁদপুর-মহেশপুর আসনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী পারভীন তালুকদার মায়া বুধবার মহেশপুর থেকে শোডাউনের মাধ্যমে কোটচাঁদপুরে এসে মেইন বাসষ্ট্যাণ্ডে জনসভা করেন। এ জনসভা শেষে আগতের মাঝে খাবার হিসারে বিরিয়ানি’র প্যাকেট বিতরণ করা হয়। জানা গেছে, সভাস্থলে ৫ হাজার প্যাকেট নিয়ে আসা হয়েছিলো। অনেকে ৩ থেকে ৫ প্যাকেট বিরিয়ানি সংগ্রহ করে বাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে খায়। এ খাবার খেয়ে বুধবার রাত ৮টা থেকে বমি পায়খানা ও পেটে যন্ত্রনা নিয়ে রোগী একের পর এক আসতে থাকে হাসপাতালে। এ ভাবে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত কোটচাঁদপুর হাসপাতালে আড়াই শ’ রোগী পেটের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: সাহাব উদ্দিন বলেন, এটাকে ফুড পয়জেনিং বলছেন। এ ছাড়া কোটচাঁদপুরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও বাড়ীতে চিকিৎসা নিচ্ছে আরো আড়াই শতাধীক রোগী। গত মঙ্গলবারও মহেশপুরে তার অপর একটি জনসভায় বিরিয়ানি খেয়ে প্রায় শতাধীক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলো। এ ব্যাপারে পারভীন তালুকদার মায়া বলেন, আমি নিজে এবং আমার স্বামী ফারুক তালুকদার এ খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আমার ধারণা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে হেয় এবং প্রতিহত করতে কাউকে ব্যবহার করে কৌশলে খাবারের মধ্যে কিছু একটা মিশিয়ে আমার এ সর্বনাশ করেছে। বেলা ১২টার দিকে কোটচাঁদপুর হাসপাতাল গেটে বর্তমান এমপি নবী নেওয়াজ এর সমর্থক ও দলীয় নেতা কর্মিরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবীতে কালো পতাকা হাতে নিয়ে মানব বন্ধন করেছেন।
এদিকে জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নির্দেশে ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাসকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তদন্তদল হাসাপাতাল পরিদর্শন করেন।