খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এখন পর্যন্ত নৌকা প্রতীক এগিয়ে রয়েছে। ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২০০টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক পেয়েছেন এক লাখ ২২ হাজার ৮৫৪ ভোট। অন্যদিকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৬৬১ ভোট। মঙ্গলবার বিকাল থেকে বিভিন্ন উৎস থেকে কেন্দ্রভিত্তিক ভোটের প্রাপ্ত ফলাফল ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত ফলাফল থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সোনাডাঙ্গা বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে ফলাফল ঘোষণা হচ্ছে। কিছু সময় পরপর এখানে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ফলাফল আসছে। ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্রের ভোট অনিয়মের কারণে স্থগিত হয়েছে।

এর আগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা দুটি কেন্দ্রের ফলাফলেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী এগিয়ে থাকেন। এ দুই কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক পান ৭৭৭ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পান ৭১০ ভোট।

সকাল ৮টা থেকে খুলনা মহানগরীর ভোট কেন্দ্রগুলোয় একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ শেষ করার পরপরই ভোট গণনা শুরু হয়। নির্বাচন নিয়ে বিএনপি অভিযোগ করেছে, তাদের এজেন্টদের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখানোর পাশাপাশি মারধরও করা হয়েছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বলেছে, পরাজয় অবশ্যম্ভাবী জেনে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি ‘মিথ্যা অভিযোগ’ করছে।

ভোটের সার্বিক পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠুভাবেই ভোট হয়েছে। এছাড়া ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছেন, চমৎকার ও সুন্দর এবং উৎসবমুখর পরিবেশে খুলনায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে যে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তারা হলেন- আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক (নৌকা), বিএনপির নজরুল ইসলাম মঞ্জু (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির এসএম শফিকুর রহমান (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মাওলানা মুজ্জাম্মিল হক (হাতপাখা) এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির মিজানুর রহমান বাবু (কাস্তে)।

৪৬ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ নগরীতে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৮৯টি ও ভোটকক্ষ এক হাজার ৫৬১টি। নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৩ জন, যার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯৮৬ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ৪৪ হাজার ১০৭ জন।