বাংলাদেশে এখনও দুই কোটি মানুষ দরিদ্র বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্যে তিনি এই তথ্য জানান।দারিদ্র্য দূরীকরণ ও মানবসম্পদ উন্নয়নে এনজিওদের মোস্ট অ্যাকটিভ’ উল্লেখ করে মুহিত বলেন, আমরা দেখি যে আমাদের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকান্ডে আমরা উৎসাহিত হয়েছি। কিন্তু এখনও দুই কোটি মানুষ দরিদ্র আছে এই দেশে, এটা অনেক বড় সংখ্যা।আমাদের দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি শুড বি টার্গেট নাম্বার ওয়ান। আগামী ১০ থেকে ১৫ বছর এটা থাকতেই হবে। অ্যাটেনশন দেওয়াটা ভালো, অ্যাটেনশন ইজ গুড ফর দি ইকোনমি।
আগামী অর্থবছরের বাজেটের আকার ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার মতো হবে বলে আভাস দেন মুহিত। এবার প্রত্যাশা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।এবার বাজেটে মানবসম্পদ উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশনে ভালো বরাদ্দ থাকবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, যদিও এবার ট্রান্সপোর্টেশন ও বিদ্যুতে বেশি বরাদ্দ থাকবে। এখানে ভালো না হলে তো ইকোনমি ভালো হয় না। বিদ্যুৎ দিতে পারলে মানুষ নিজেরাই উন্নয়ন করে ফেলে।এনজিওগুলোকে উৎসাহিত করে মুহিত বলেন, আমরাও মনে করি যে এনজিও অ্যাকটিভিটিস একটু বাড়লে মানুষের কল্যাণ হবে।এনজিও প্রতিনিধিরা শিশুদের জন্য আলাদা বাজেট এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য মন্ত্রণালয়ভিত্তিক বাজেট বরাদ্দের দাবি জানান।এছাড়া পিছিয়ে পড়া ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জন্য আলাদা বাজেট, নারীদের উন্নয়ন এবং কর্মজীবী নারীদের জন্য হোস্টেল নির্মাণের জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখাসহ বেশ কয়েকটি দাবি জানান।এনজিও প্রতিনিধিদের দাবিগুলো লিখিত আকারে অর্থ সচিবকে দেওয়া হবে বলেও জানান তারা।
গণস্বাক্ষরতা অভিযানের রাশেদা কে চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ বেশ কয়েকটি এনজিওর শীর্ষ কর্মকর্তা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন।