রাজধানীর দক্ষিণখান থানাধীন দেওয়ানপাড়া এলাকায় মনির হোসেন হত্যার ‘ক্লুলেস’ মামলার রহস্য উদঘাটন এবং সেই সাথে হত্যাকান্ডে জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উত্তর বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ মেহেদী হাসান ও মোঃ আকিকুল ইসলাম। গ্রেফতারের সময় মেহেদীর কাছ থেকে ভিকটিম মনিরের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। গত ৭ মে’২০১৮ তারিখ রাত ১০.১৫টায় ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান করে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে ডিবি উত্তরের বিমান বন্দর জোনাল টিম।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম মনির হোসেন (৩০) দক্ষিণখান থানা এলাকায় দেওয়ানপাড়ার, দেওয়ান বাড়ির ৫ম তলার মেসে থাকত। সে জায়গা-জমির ব্যবসার পাশাপাশি উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় গাড়ির যন্ত্রাংশ বিক্রি করত ও সুদের বিনিময়ে মানুষকে টাকা ধার দিত। গত ২৮ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে তার রুমমেট পিয়াস বাহির থেকে এসে দরজা ধাক্কা দিলে ভেতর থেকে কেউ দরজা খোলে না। পরে সে লক্ষ্য করে দরজাটি বাহির থেকে হ্যাজবোল্ড লাগানো। পিয়াস হ্যাজবোল্ড খুলে রুমে ঢুকে দেখে ড্রইং রুমের ফ্লোরে গলায় নায়লনের রশি পেঁচানো অবস্থায় চিৎ হয়ে পড়ে রয়েছে মনির। মনিরের এই অবস্থা দেখে পিয়াস চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে মনিরকে উক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। বিষয়টি দক্ষিণখান থানা পুলিশকে বললে পুলিশ এসে মৃত ব্যক্তির সুরতহাল করে মর্গে প্রেরণ করে। এ হত্যার বিষয়ে ২৯ এপ্রিল’১৮ তারিখে দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
মামলা রুজুর পর থানা পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্তে নামে ডিবি উত্তরের বিমান বন্দর জোনাল টিম। প্রাথমিক অনুসন্ধান ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় উক্ত আসামীদ্বয়কে ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানা এলাকা হতে বিশেষ অভিযান করে মেহেদী ও আকিকুলকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম মনির গ্রেফতারকৃত মেহেদী ও আকিকুলকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়। এতে তারা রাজি না হয়ে বাধা দিলে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তারা মনিরকে হত্যা করে।