চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) কৃষি খাতে ১৭ হাজার ৩২৭ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। যা চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৮৫ শতাংশ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৫ হাজার ৮১০ কোটি টাকা। অর্থাৎ আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরে কৃষি খাতে এক হাজার ৫১৭ কোটি টাকা বেশি বিতরণ হয়েছে।

চলতি অর্থবছরে কৃষি খাতে মোট ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় ৮টি ব্যাংকের জন্য নির্ধারিত ৯ হাজার ৫৯০ কোটি টাকা। আর বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের জন্য এবার ১০ হাজার ৮১০ কোটি টাকা বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কৃষিঋণ বিতরণে শীর্ষে রয়েছে সরকারি খাতের বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের নয় মাসে বিশেষায়িত এ ব্যাংকটি তিন হাজার ৬৫৮ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করেছে। অর্থবছরের নয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার ৭৪ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ করেছে কৃষি ব্যাংক। পুরো অর্থবছরের জন্য কৃষিঋণ বিতরণে ব্যাংকটির লক্ষ্যমাত্রা চার হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এর পরেই রয়েছে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। আলোচ্য সময়ে এ ব্যাংকটি এক হাজার ৫১ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করেছে। যা ব্যাংকটির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৬৮ শতাংশ। পুরো অর্থবছরের জন্য এ ব্যাংকের লক্ষ্য ধরা হয়েছে এক হাজার ৬৮০ কোটি টাকা। কৃষিঋণ বিতরণের দিক থেকে ৩য় স্থানে রয়েছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। এই অর্থবছরে ৯৯৭ কোটি টাকা বিতরণ করেছে ব্যাংকটি। যা ব্যাংকটির নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৮৬ শতাংশ। ইসলামী ব্যাংকের পুরো বছরের লক্ষ্যমাত্রা এক হাজার ১৫৭ কোটি টাকা। এর পরেই রয়েছে জনতা ব্যাংক। ৯ মাসে ৬২৯ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকটি। এ ছাড়াও অগ্রণী ব্যাংক বিতরণ করেছে ৫৩১ কোটি টাকা। যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার ৮০ শতাংশ। ব্যাংকটির লক্ষ্যমাত্রা ৬৬০ কোটি টাকা। অন্যদিকে, লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও কোনো ঋণ বিতরণ করতে পারেনি ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং সীমান্ত ব্যাংক লিমিটেড। আর চলতি অর্থবছরে ১৫০ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল দি ফারমার্স ব্যাংকের। যার শূন্য দশমিক ৮৩ শতাংশ অর্থাৎ নয় মাসে এক কোটি ২৪ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে ফারমার্স ব্যাংক। কিছু ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলেও সার্বিকভাবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি কৃষিঋণ বিতরণ হওয়ায় কৃতিত্ব দাবি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।