সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, কাজীপুর ও কামারখন্দ উপজেলায় বজ্রপাতে বাবা-ছেলে ও কলেজছাত্রসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন শাহজাদপুর পৌর এলাকার ছয়আনিপাড়া মহল্লার ফারুক হাসানের ছেলে নাবিল হোসেন (১৭), রাশেদুল হাসানের ছেলে পলিং হোসেন (১৬), কাজীপুর উপজেলার ডিগ্রি তেকানী গ্রামের মৃত পারেশ মণ্ডলের ছেলে শামছুল মণ্ডল (৫৫) ও শামছুল মণ্ডলের ছেলে আরমান (১৪)এবং কামারখন্দের পেস্তক কুড়াগ্রামের মৃত আহের মণ্ডলের ছেলে কাদের হোসেন (৩৭)।

কাজীপুরের তেকানী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. হারুনার রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রোববার সকালে ডিগ্রি তেকানী চরে ছেলেকে নিয়ে বাদাম তুলছিলেন শামছুল। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হয়ে দুজনেই ঝলসে যান। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে কাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে উভয়েই মারা যান। অন্যদিকে দুপুরের দিকে শাহজাদপুর উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে বজ্রপাতে নাবিল ও পলিং নামের দুই কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়। নিহত নাবিল হোসেন ও পলিং হোসেন পৌর এলাকার ছয়আনিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। তাঁরা শাহজাদপুর ডিগ্রি কলেজে প্রথম বর্ষে পড়তেন।

প্রেসক্লাব শাহজাদপুরের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বৃষ্টির কারণে নাবিল ও পলিং উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় বজ্রপাতে তাদের শরীর ঝলসে যায়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স ইনচার্জ আবদুল লতিফ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কামারখন্দ উপজেলার পেস্তক কুড়া গ্রামের একটি ধানক্ষেতে বজ্রপাতে কাদের হোসেন নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা জানান, কৃষক কাদের হোসেন বাড়ির পাশে নিজের ক্ষেতের ধান কাটছিলেন। হঠাৎ করেই বৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে থাকে। একপর্যায়ে বজ্রপাতে তাঁর শরীর ঝলসে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মারা যান। কামারখন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. তানজিলা বেগম বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।