রুপকল্প ২০২১ এর পর এবার ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তরের প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা ও কর্মপন্থা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে সরকার। আজ শনিবার বিকেলে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির সোফিটেল হোটেলে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা কিভাবে দেখতে চাই সেভাবে বাংলাদেশকে উন্নয়নের জন্য আমরা পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু করেছি।’

এর আগে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে রুপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে এই রুপকল্প ঘোষণা করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার অস্ট্রেলিয়া সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়া শাখা আজকের এই সংবর্ধনার আয়োজন করে। সিডনিতে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল উইমেন সামিট-২০১৮তে যোগ দিতে এবং গ্লোবাল উইমেন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ গ্রহণ করতে গত শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া গেছেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের জন্যই আজকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং উন্নয়নশীল দেশ হবার যোগ্যতা অর্জনে সমর্থ হয়েছে।’

বাংলাদেশ এরই মধ্যে আগামী ছয় বছর পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে এর অবস্থানকে ধরে রাখার লক্ষ্য অর্জনে সমর্থ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আমরা পরিকল্পনা করছি কিভাবে দেশকে ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে এবং এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা সকল ধরনের পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’ বাংলাদেশের এই উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা যাতে কোনভাবে ব্যাহত না হয় সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধী, খুনী এবং দেশের উন্নয়নের প্রতি অনাস্থাশীল চক্র যেন কোনোভাবে আর কোনোদিন এ দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে।

দেশের মর্যাদার বিষয়ে সবসময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা যে যেখানেই বাস করুন না কেন, আপনাদের দেশপ্রেম নিয়ে কাজ করে দেশের সম্মানকে তুলে ধরতে হবে, যে সম্মান আমরা লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জন করেছি। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। এসময় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বক্তব্য দেন। অন্যদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসু রহমানসহ আওয়ামী লীগ নেতারাও বক্তব্য দেন।