৯ দিনের ছুটি! আর তাতে বাংলাদেশ এখন উৎসবে মাতোয়ারা! ২৭ এপ্রিল শুক্রবার থেকে আগামী ৫ মে শনিবারের মধ্যে ৩০ এপ্রিল সোমবার ও ৩ মে বৃহস্পতিবার বাদ দিয়ে বাকি সাতদিনই রয়েছে সরকারি ছুটি। ফলে ওই দু’দিন ছুটি নিলেই মিলবে টানা ৯ দিন ছুটি। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে এই ছুটি কাটানোর উৎসব দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে অনেক অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ৩০ এপ্রিল ও ৩ মে ছুটি ‘ম্যানেজ’ করে রওয়ানা হয়েছেন গ্রামের বাড়ি। আবার অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে রাজধানী ছেড়ে দূরে কোথাও বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।সরকারি ছুটির বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, ২৭ ও ২৮ এপ্রিল শুক্রবার ও শনিবার দু’দিন সাপ্তাহিক ছুটি। ২৯ এপ্রিল রবিবার রয়েছে বুদ্ধ পূর্ণিমার ছুটি। তিন দিনের এই ছুটির পর ৩০ এপ্রিল একদিন অফিস খোলা থাকলেও ১ মে মঙ্গলবার আবার মহান মে দিবসের ছুটি। ওইদিন রাতেই উদযাপিত হবে পবিত্র শবে বরাত। তাই সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পরের দিন ২ মে বুধবার শবে বরাতের সরকারি ছুটি রয়েছে। এরপর ৩ মে বৃহস্পতিবার একদিন সরকারি অফিস খোলা থাকলেও ৪ মে শুক্রবার ও ৫ মে শনিবার এই দুই দিন আবার সাপ্তাহিক ছুটি। তাই মধ্যখানের ওই দু’দিন ‘ম্যানেজ’ করতে পারলেই সব মিলিয়ে টানা ৯ দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।সরকারি অফিসগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেউ হয়তো ৩০ এপ্রিল ছুটি নিয়েছেন আবার কেউ ৩ মে ছুটি নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ ৩০ এপ্রিল ও ৩ মে ছুটি নিয়ে টানা নয়দিনের জন্য বেরিয়ে পড়েছেন ঢাকার বাইরে।

সদরঘাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই লঞ্চগুলোয় ঈদের সময়কার উৎসব বিরাজ করছে, যা আজ শুক্রবারও রয়েছে। বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর (হুলারহাট), বরগুনা, ঝালকাঠিগামী কোনও লঞ্চেরই কেবিন খালি নাই। যা অনেক আগেই বুক হয়ে গেছে। ডেকেও জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না।বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় অগ্রীম বুকিং রয়েছে বলেও জানা গেছে। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার থেকে পাওয়া গেছে হোটেলের অতিরিক্ত চাহিদার খবর। সর্বত্রই ভ্রমণপিপাসু মানুষের আনাগোনায় মুখরিত হয়ে উঠছে পর্যটন নগরীর বিভিন্ন স্পট।