আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার সুকানদিঘী পুকুরে শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে কতিপয় ক্ষমতাসীন বালু ব্যবসায়ী। এতে হুমকির মুখে পড়েছে পুকুরে তীরবর্তী গুচ্ছা গ্রাম, সুকানদিঘী বাজার ও পাশেই গাঁ ঘেঁষে যাওয়া রেললাইনটির।
বুধবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার সুকানদিঘী বাজার এলাকার পাশেই সুকানদিঘী পুকুরে শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। ওই এলাকার সাইফুল ইসলাম (ঘোড়া) বিদেশী, বালু ব্যবসায়ী আমিনুর রহমান ড্রাইভার ও বারাজান এসসি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাজারুল ইসলাম পলাশ মেশিন বসিয়ে বালু তুলছে। এছাড়া গোপন সুত্র মতে জানাচ্ছে আরো দুই থেকে তিনটি মেশিন বসানোর প্রস্তুতি চলছে।
ওই এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে যেকোন মূর্হুতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দেখা দিয়েছে। এদিকে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে পুকুরে তীরবর্তী প্রায় শতাধিক বাড়ীঘর, বাজার ও পাশের রেললাইনটি যেমন তোমন ভূমিকম্পনে পুকুরের গর্ভে বিলীন হওয়ার এমন আশংকার কথাই জানিয়েছেন ওই এলাকার ভুক্তভোগীরা। প্রভাবশালী হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থরা তাদের বিরুদ্ধে কোন কথাও বলতে সাহস পাচ্ছেনা।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল হাসান জানান, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।