লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় জমি সংক্রান্ত জেরে ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে আবিরন বেওয়া (৫৬) নামে এক অসহায় বৃদ্ধাকে মারধোর পুর্বক বাঁশের সঙ্গে বেঁধে রেখে ঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেল চৌকিদাররা। এ সময় ওই বৃদ্ধা গুরুতর আহত হলে তাকে পাঠগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

রবিবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে আহত বৃদ্ধাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউপির ছিট জমগ্রাম এলাকায় শনিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আহত বৃদ্ধা আবিরন বেওয়া ছিট জমগ্রাম এলাকার মৃত আঃ সামাদের স্ত্রী।

এ ঘটনায় জমির মালিক আবু সাঈদের স্ত্রী আয়শা বেগম ও তার শিশু সন্তান ইয়াসিনকে নিয়ে রাত থেকে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

জানা যায়, পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউপির ছিট জমগ্রাম এলাকার মৃত আঃ সামাদের ছেলে আবু সাঈদ একই গ্রামের মৃত মতিয়র রহমানে ছেলে শাহিন মিয়ার কাছ থেকে তিন বছর আগে ৭ শতক জমি ক্রয় করেন। ক্রয় সূত্রে বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন তারা। কিছু দিন যাওয়ার পর শাহিন মিয়ার অন্য দাগের ৭ শত জমি বিক্রয় করছেন বলে ক্রেতা আবু সাঈদের নিকট দাবি করেন। এবং জমি থেকে বসতঘর উচ্ছেদ করার হুমকি দেন। এ ঘটনায় আবু সাঈদ বসতবাড়ি রক্ষায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নারগিস আক্তার জানান, শনিবার সকালে হঠাৎ চারজন ইউপি চৌকিদার ও কিছুলোক বাড়িতে গিয়ে কোনো কথা না বলে ঘর ভাঙা শুরু করেন। এ সময় আবু সাঈদের মা বৃদ্ধা আবিরন বেওয়া তাদেরকে বাঁধা দিলে তাকে বাঁশের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেন। পরে ঘর ভেঙে ট্রাক্টরে করে নিয়ে যায়।

অভিযুক্ত শাহিন মিয়া জানান, আমি ঘর ভাঙিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানই নির্দেশে চৌকিদারা ঘর ভেঙে নিয়ে গেছে। এ বিষয় আমি ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছি। এ বিষয়ে আবু সাঈদ জানান, আমার আহত মাকে নিয়ে আমি রংপুর হাসপাতালে আছি। এলাকায় গিয়ে এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করব। বাউরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বসুনিয়া দুলাল জানান, ওই পরিবারকে বাড়ি না করার জন্য নির্দেশ দিয়ে ছিলাম। আমার চকিদাররা ওই ঘরের মালামাল ইউনিয়র পরিষদের জমা দিয়েছে। বৃদ্ধাকে বেঁধে রাখার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। পাটগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক ফিরোজ কবির জানান, এ ঘটনা আমার জানা নেই। আমি একদিনের জন্য দায়িত্বে আছি মাত্র।