অনুমতি না নিয়ে অন্যের ছবি ব্যবহার করে আরএফএল প্লাস্টিকের একটি বিজ্ঞাপন তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পৃষ্ঠায় একটি ছবি পোস্ট করায় এই নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বির্তকে ঝড় উঠেছে । বিশেষ করে বিভিন্ন ফেস পেজে এই নিয়ে চলছে নানা বির্তক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল রাতে কোটা সংস্কারের প্রতিবাদে আন্দোলনে ছাত্র-পুলিশ সংর্ঘষের সময় ইটের ঢিল আর টিয়ারগ্যাস থেকে বাচঁতে বিডি মনিং.কম এর ফটো সাংবাদিক আবু সুফিয়ান জুয়েল বাধ্য হয়ে রাস্তায় পাওয়া টুল মাথায় হেলমেট হিসাবে ব্যবহার করে সংর্ঘষের ছবি তোলে। আর এ ছবিটি ক্যামেরা বন্দি করেন ফোকাস নিউজ এজেন্সির ফটো সাংবাদিক আব্দুল গণি। কিন্তু এ ছবিটি এই দুইজনের অনুমতি না নিয়ে নিয়েই আরএফএল প্লাস্টিকের একটি বিজ্ঞাপন তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পৃষ্ঠায় স্টুল ব্যবহার এ ছবিটি পোস্ট করেছে। ছবিটি ব্যবহারের সময়ও বাংলায় একটি বার্তা দেওয়া হয়, যাতে লেখা আছে “সব পরিস্থিতিতে আমাদের পণ্যগুলির স্থায়িত্বের উপর নির্ভর করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ”।অনুমিতি না নিয়ে অন্যের ছবি ব্যবহার যা কপিরাইট আইন লংঘনের শামিল।
আরএফএল তাদের অফিসিয়াল পেজে এ বিজ্ঞাপন নিয়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীরাও তাদের পোস্টে তীর্যক মন্তব্য করেছে। কেউ কেউ বলেছেন, এমন ছবি ব্যবহারে ফটো সাংবাদিকের অনুমতি অবশ্যই বাঞ্ছনীয়। একই সঙ্গে যিনি এ ছবি তুলেছেন তার ফটো ক্রেডিট দেওয়া এবং যাকে নিয়ে এই ছবি তোলা হয়েছে তাদের সম্মান করা উচিত,তারা কাজের প্রতি সৎ থেকেই এমন পরিস্থিতি সামলেছেন। তাদেরকে ছবির বর্ণনায় আনা প্রয়োজন।আবার বেশিরভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারী পোস্টে মন্তব্য করেছেন যে এটি হাস্যকর এবং কয়েকটি গুরুতর সমস্যার আলোকে বিজ্ঞাপনটিকে সমালোচনা করেছে। এ ব্যাপারে ফোকাস নিউজ এজেন্সির স্টাফ ফটো সাংবাদিক আব্দুল গণি বলেন, আমার সঙ্গে কোন প্রকার যোগাযোগ না করেই আরএফএল কোম্পানি তাদের অফিসিয়াল পেজে আমার ছবির বিজ্ঞাপন দিয়েছে । যা কপিরাইট লংঘন। আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি এবং আইন অনুয়ায়ী ব্যবস্থা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।