মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া এলাকায় ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই জাহাজ উদ্ধারে সোমবার সকালেও কোন ধরণের তৎপরতা শুরু করা হয়নি। রবিবার গভীর রাতে চরে আটকে কাত হয়ে ডুবে যাওয়ার পর ওই দিন দুপুরে শুধুমাত্র ডুবন্ত জাহাজটির মাকির্ং স্থাপন করা হয়েছে। তবে কার্গো জাহাজটি মুল চ্যানেলের বাহিরে ডুবায় এ নৌপথ দিয়ে দেশী-বিদেশী জাহাজসহ সকল ধরণের নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পশুর চ্যানেলের সুন্দরবনের অভ্যন্তরে কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ ডুবির ঘটনায় রবিবার বিকেলে মোংলা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছে বন বিভাগের চাদপাই ষ্টেশন কর্মকর্তা কামরুল হাসান। এছাড়া চাদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: শাহিন কবিরকে সোমবারের মধ্যে কার্গো ডুবির ঘটনা ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে বন বিভাগের বাগেরহাট বিভাগীয় বন কর্মকর্তার দপ্তরে।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: মাহামুদুল হাসান বলেন, সোমবার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এদিকে কার্গো ডুবির ঘটনার দ্বিতীয় দিন সোমবার দুর্ঘটনাকবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: মাহামুদুল হাসান। চাদপাই ষ্টেশন কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, রবিবার মালিকপক্ষ কার্গো জাহাজ উদ্ধার কাজ করেনি, সোমবার দুপুর পর্যন্তও উদ্ধার কাজের কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাষ্টার কমান্ডার এম অলিউল্লাহ বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কার্গো জাহাজটি উত্তোলনের জন্য মালিকপক্ষকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। তারা এ নোটিশ কিংবা নির্দেশনা উপেক্ষা করলে তাদের বিরুদ্ধের আইনগত ব্যবস্থাসহ কার্গো মালিকানা বাতিল করে অপর উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান দিয়ে ‘নো লস, নো প্রোফিট’ চুক্তি ভিত্তিতে এটি অপসারণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, ডুবন্ত জাহাজে যে কয়লা আছে তা ‘নো সালফার’ কয়লা এতে পানি দূষণ করবে না। এছাড়া মালিক পক্ষআগামী ৭ দিনের মধ্যে জাহাজটি উত্তোলণ করতে পারবেন বলে কর্তৃপক্ষকে সেই নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আর কার্গোটি যেহেতু চ্যানেলের বাহিরে ডুবেছে সেক্ষেত্র অন্যান্য নৌযান চলাচলে কোন বিঘœ ঘটবে না বলেও জানিয়েছেন হারবার মাষ্টার অলিউল্লাহ।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান বলেন, ডুবন্ত নৌযানটি উদ্ধারে মালিকপক্ষ প্রয়োজনীয় ক্ষমতা সম্পন্ন বার্জসহ অন্যান্য মালামাল সংগ্রহ করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই উদ্ধার তৎপরতা শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া ডুবন্ত কয়লার জাহাজ থেকে যাতে কোন ধরণের বর্জ্য ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য সদ্য ক্রয়কৃত বন্দরের নিজস্ব বর্জ্য অপসারণকারী জাহাজ পশুর ক্লিনার-০১কে সেখানে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশা করছি কোন ধরণের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই জাহাজটি দ্রুত উত্তোলন করা সম্ভব হবে। মংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া-০৬ নম্বর এ্যাংকোরেজে (নোঙ্গর) থাকা বিদেশী জাহাজ এম,র্ভি অবজারভেটর থেকে প্রায় ৭শ ৭৫ মেট্টিক টন কয়লা বোঝাই করে কার্গো জাহাজ এম,ভি বিলাস শনিবার দুপুর ২টার চ্যানেলের কূলের/তীরের কাছাকাছি গিয়ে অবস্থান নিয়ে থাকা অবস্থায় রবিবার গভীর রাতে (৩টা) ভাটার সময় চরে আটকে কাত হয়ে ডুবে যায়।