সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে যে হামলা হয়েছে, তা পেশাদার কেউ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।বৃহস্পতিবার ডিএমপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মধ্যে গত রোবকবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসায় হামলা হয়। ঢাকার পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ভিসির বাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যে ধরনের অরাজকতার ঘটনা ঘটানো হয়েছে, তা অনাকাক্সিক্ষত ও অপ্রত্যাশিত। ভিসির বাসায় যে কায়দা ও মাত্রায় ভাংচুর করা হয়েছে, সিসি টিভির হার্ড ডিস্ক যেভাবে খুলে নিয়ে গেছে, তাতে মনে হচ্ছে এটা পেশাদার লোকের কাজ।প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, হামলার সময় পাঁচ শতাধিক তরুণ সেখানে ছিল। তারা ভেতরে ঢোকে গেইট ভেঙে। তাদের অনেকেরই মুখ ছিল কাপড় দিয়ে ঢাকা।দুই তলা ওই বাসভবনের ঘরে ঘরে ঢুকে জানালার কাচসহ প্রায় প্রতিটি আসবাবপত্র ও ভাঙার মত প্রায় সবকিছুই তারা ভেঙে ফেলে। এমনকি বাথরুম ও রান্নাঘরও তারা তছনছ করে। ভবনের সিসি ক্যামেরাগুলোও ভেঙে ফেলা হয়।

উপাচার্য আখতারুজ্জামান পরদিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, হামলাকারীরা প্রাণনাশের জন্য এসেছিল।অন্যদিকে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ওই হামলা চালিয়েছে ‘বহিরাগত সন্ত্রাসীরা’। এর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কোনো সম্পর্ক নেই।উপাচার্যের বাসায় হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তভার ডিএমপির ‘প্রশিক্ষিত ঊর্ধ্বতন’ কর্মকর্তাদের হাতে ন্যস্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করে নিয়ে আসব, এটা আমাদের দৃঢ় প্রত্যয়।তিনি এসময় বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, যারাই নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।জনগণের নিরাপত্তা বিঘœ করে অতীতে কেউ পার পায় নাই, এবারও পাবে না।উপাচার্যের বাসায় হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বুধবার সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন।