সিরিয়ার একটি সামরিক বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহত ও আহত হয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। সোমবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হোমস শহরের কাছাকাছি তিয়াস বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। তবে কারা এই হামলা চালিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক সংলগ্ন দৌমায় রাসায়নিক হামলার পর বিশ্বমহলে সৃষ্ট প্রতিক্রিয়ায় মধ্যেই ক্ষেপণাস্ত্র হামলাটি চালানো হলো। দৌমার রাসায়নিক হামলায় প্রায় ৭০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাসায়নিক হামলায় এক যৌথ বিবৃতিতে হামলার ঘটনায় সমন্বিতভাবে একটি শক্তিশালী যৌথ প্রতিক্রিয়ায়’ প্রতিশ্র“তি দেন।কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগন জানিয়েছে, এই মুহূর্তে তারা সিরিয়ার কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা পরিচালনা করছে না।
এদিকে, জাতিসংঘ প্রধান অ্যান্তোনিও গুতেরেস সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে রোববার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। খবর সিনহুয়ার।গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন, তুলনামূলকভাবে কিছুটা সময় শান্ত থাকার পর পূর্ব গৌতার দৌমা শহরে নতুন করে গত ৩৬ ঘণ্টার ব্যাপক সহিংসতার ব্যাপারে মহাসচিব গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।মুখপাত্র আরো বলেন, ‘বিশেষ করে দৌমার বেসামরিক জনগোষ্ঠীর ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের যে অভিযোগ উঠেছে তা নিয়ে মহাসচিব উদ্বিগ্ন।তিনি বলেন, জাতিসংঘ এসব খবরের সত্যতা যাচাই না করার পর্যায়ে না থাকলেও মহাসচিব উল্লেখ করেন যে রাসায়নিক অস্ত্রের যেকোন ধরণের ব্যবহার জঘন্য অপরাধ। এ ব্যাপারে যথাযথ তদন্ত প্রয়োজন।মুখপাত্র বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তর্জাতিক মানবিক ও মানবাধিকার আইন মেনে চলা নিশ্চিত করতে সকল পক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।