কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনার জন্য উত্তর কোরিয়া প্রস্তুত বলে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে বলে ভাষ্য এক মার্কিন কর্মকর্তার।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের বৈঠকের সময় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে, উত্তর কোরিয়া এমনইটিই জানিয়েছেন বলে রোববার দাবি করেছেন ওই মার্কিন কর্মকর্তা, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে গোপন যোগাযোগ হয়েছে যেখানে পিয়ংইয়ং নজিরবিহীন ওই শীর্ষ বৈঠক আয়োজনে তাদের সদিচ্ছার কথা সরাসরি নিশ্চিত করেছে।দুপক্ষের যোগাযোগ এখন প্রাথমিক অবস্থায় আছে এবং মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উত্তর কোরিয়ার জাতিসংঘ মিশনের মাধ্যমে দেশটির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, পাশাপাশি দুই দেশের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা পৃথক একটি চ্যানেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
এর আগ পর্যন্ত কিমের অভিপ্রায়ের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রধানত তার মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার আশ্বাসের ওপরই নির্ভর করতো। কিমের আমন্ত্রণ গ্রহণের বিষয়ে রাজি করাতে গত মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার দূতরা ওয়াশিংটন সফরে গিয়েছিলেন।আগের বছর কিমের সঙ্গে যিনি মারমুখি হুমকি-ধামকি আদান-প্রদান করেছেন সেই ট্রাম্প বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে দ্রুত কিমের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম উত্তর কোরিয়ার তৈরি করা পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে কথা বলার উদ্দেশ্যেই দ্রুত সাড়া দেন তিনি।কিন্তু পরিকল্পিত ওই শীর্ষ বৈঠকের বিষয়ে এ পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো ঘোষণা দেয়নি উত্তর কোরিয়া।যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মে-তে বৈঠকটি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।উত্তর কোরিয়ার কোনো নেতার সঙ্গে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রথম এই বৈঠকের স্থানটি কোথায় হবে, সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো কিছু জানা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।কখন যুক্তরাষ্ট্র-উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ শুরু হয়েছে তা জানাতে না চাইলেও এরইমধ্যে দুপক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই মার্কিন কর্মকর্তা।দ্বিতীয় আরেক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে কিম জং উন আলোচনা করতে ইচ্ছুক, যুক্তরাষ্ট্র এটি নিশ্চিত করছে।দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর ব্লু হাউস উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যোগাযোগকে স্বাগত জানিয়েছে। ওই দপ্তরের এক কর্মকর্তা এই যোগাযোগকে ‘গঠনমূলক’ বলে মন্তব্য করেছেন।