অস্টাদশ দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী আগামী ১ সেপ্টেম্বর ঢাকায় শুরু হবে। মাসব্যাপী এই প্রদর্শনী চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে এই প্রদর্শনীতে এশিয়ার দেশগুলোর শিল্পীরা অংশগ্রহণ করবে ।প্রদর্শনী ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিসহ নগরীর কয়েকটি ভ্যানুতে অনুষ্ঠিত হবে। এতে চারুকলা প্রদর্শনী ছাড়াও থাকবে চারুকলা বিষয়ে কয়েকটি সেমিনার,আলোচনা সভা এবং প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনী।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক নাট্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব লিয়াকত আলী লাকী এই তথ্য জানান। তিনি জানান, এশীয় চারুকলা অস্টাদশ প্রদর্শনী আয়োজনের প্রস্তুতির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের শিল্পীদের এতে অংশ গ্রহণের জন্য আবেদন করতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
একাডেমির চারুকলা বিভাগ থেকে জানান হয়, গত আটত্রিশ বছর ধরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে। প্রতি দুই বছর পর এ প্রদর্শনী হয়। এবার আঠারতম প্রদর্শনী হবে। ২২ বছরের উর্ধ্বে এশীয় যে কোন দেশের শিল্পীরা এতে অংশ নিতে পারবেন। এবারের প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণে আগ্রহী বাংলাদেশী ও বিদেশী শিল্পীদের আবেদন করার জন্য ইতিমধ্যে আমন্ত্রণ জানান হয়েছে। আগামী ৩১ মে’এর মধ্যে আবেদন করার জন্য সময়সীমা নির্ধারন করে দেয়া হয়েছে।
প্রদর্শনীর নীতিমালায় বলা হয়েছে ,যে সব শিল্পীরা অংশগ্রহনের জন্য আবেদন করবেন,সেই সব আবেদন বাছাই করার জন্য কয়েকজন শিল্পীকে নিয়ে একটি বাছাই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাছাই করা আবেদনকারীরা এতে অংশ নিতে পারবেন। বাছাই করা আবেদনের শিল্পীদের পরবর্তীতে তাদের শিল্পকর্ম জমা দেয়ার জন্য বলা হবে। শিল্পকর্ম জমা দেয়ার পর সেগুলো থেকে বাছাই করা শিল্পকর্ম একটি জুরিবোর্ড বিচার করে পুরস্কারের চিত্রকর্ম নির্ধারন করবেন।
লিয়াকত আলী লাকী বলেন, ঢাকায় এশীয় চিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাপক সুনাম অর্জণ করেছে। শিল্পকলা একাডেমি আটত্রিশ বছর ধরে এই প্রদর্শনী আয়োজন করে বাংলাদেশের চিত্রকর্মকে বিশ্বের মাঝে তুলে ধরেছে। এতে আমাদের শিল্পী ও শিল্পকর্মকে এশীয় ও অন্যন্য মহাদেশের শিল্প প্রেমিকরা জানতে পেরেছেন। আমাদের দেশের দর্শক ও শিল্পপ্রেমীরাও অন্যান্য দেশের চারুশিল্প সম্পর্কে অবগত হচ্ছেন। আশা করছি অস্টাদশ প্রদর্শনীও আমরা অত্যন্ত সুচারুভাবে সফল করতে পারবো।