উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে আমসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল (শুক্রবার) দুপুরের পর হঠাৎ করেই কালোমেঘে ছেয়ে যায় আকাশ। সেই সঙ্গে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া, বৃষ্টি। এসময় দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টিতে মারা গেছেন ৬ জন। এদিকে, বৈরি আবহাওয়ায় চার ঘণ্টা বন্ধ থাকে কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া রুটে সব ধরণের নৌযান চলাচল।
রংপুর: শুক্রবার দুপুরে রংপুরে প্রায় একঘণ্টা বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়। একপর্যায়ে শিলা বৃষ্টিতে ক্ষেতের শাক-সবজি ও হাড়িভাঙ্গা আমের ক্ষতি হয়। একই সময় তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে দু’জনের মৃত্যু হয়। উত্তর-পশ্চিম থেকে ভেসে আসা মেঘমালার প্রভাবে এ ধরণের বৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভাগীয় আবহাওয়া অফিস।
সিলেট: এদিন বিকেলে হঠাৎ করে সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকা অন্ধকারে ছেয়ে যায়। এরপর শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বজ্রপাত। এতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ। সিলেটে দুদিন ধরেই ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে।
নীলফামারী: ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি, গোমনাতি, বামুনিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা। মরিচ, তামাক ও ভুট্টার ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।
পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়ায় মুষলধারে বৃষ্টি একপর্যায়ে শিলা বৃষ্টিতে রূপ নেয়। এতে আমের মুকুল ঝড়ে যাওয়ার পাশাপাশি রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় আকাশে মেঘ জমার পরপরই শুরু হয় শিলা বৃষ্টি। এতে, গোবিন্দগঞ্জ, সাদুল্লাপুর, সাঘাটা ও ফুলছড়ির বিভিন্ন এলাকার আমের মুকুল ও ছোটো আম পড়ে যায়। এছাড়া, শীলার আঘাতে পলাশবাড়ির হোসেনপুরে অন্তত ১৫ জন আহত হন।
ঠাকুরগাঁও: ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে শিলা বৃষ্টি হয় ঠাকুরগাঁওয়ে। একঘণ্টার বৃষ্টিতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি জমে যায়। আলো কমে যাওয়ায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করে।