পাকিস্তানের একসময়ের জঙ্গি উপদ্রুত অঞ্চল খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সোয়াত উপত্যকার মিনগোরা শহরে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন দেশটির শান্তিতে নোবেলজয়ী তরুণী মালালা ইউসুফজাই। পাঁচ বছরের বেশি সময় আগে সোয়াতে তালেবান যোদ্ধারা গুলি করে তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।-খবর এএফপি ও বিবিসির। গত বুধবার রাতে বাবা-মাসহ জন্মভূমি পাকিস্তানে ফেরেন নারী আন্দোলনকর্মী মালালা। বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এক অনুষ্ঠানে আবেগজড়িত কণ্ঠে নিজ দেশে ফেরার স্বপ্নের কথা বলেন এই তরুণী।
সরাসরি টেলিভিশনে প্রচারিত ওই বক্তব্যে মালালা বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে আমি দেশে আসার স্বপ্ন দেখেছি। বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, আজ আমি খুবই আনন্দিত। আমি সাড়ে পাঁচ বছর পর আবার আমার দেশের মাটিতে পা রাখতে পেরেছি। তবে পাকিস্তানে ফিরতে পারলেও মালালা তার নিজ বাড়িতে ফিরতে পারবেন কিনা তা শুক্রবার রাত পর্যন্তও নিশ্চিত ছিল না। কারণ খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশ এখনও জঙ্গিদের শক্তঘাঁটি। মালালার ফেরা উপলক্ষে শনিবার সোয়াত ভ্যালিতে ব্যাপক নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মিনগোরা শহরে মালালার বাড়িতে যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
এই সফরে মালালা চার দিন পাকিস্তানে থাকবেন বলে জানান মালালা ফান্ড গ্রুপের কর্মকর্তারা। মিনগোরার যে স্কুলে একসময় মালালা পড়তেন সেই স্কুলের ছাত্রী আরফা আখতার বলে, মালালা পাকিস্তানে আসায় আমরা খুব খুশি। আমিও মালালা। মালালার এই লড়াইয়ে আমি তার সঙ্গে আছি। মালালার পরিবার মিনগোরায় বসবাস করতেন। ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর স্কুলে যাওয়ার সময় তালেবান যোদ্ধারা তার স্কুল বাসে উঠে জিজ্ঞেস করেন- মালালা কে? এর পর তাকে গুলি করে। প্রথমে তাকে সেনাবাহিনীর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরবর্তী সময় বিমানে করে ব্রিটেনের বার্মিংহামে নিয়ে যাওয়া হয়।