সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচন। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী তিনটি, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী একটি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী একটিতে বিজয়ী হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটদান অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), আনসার ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা নিয়োজিত ছিল।

মামলার জটিলতায় দীর্ঘ ১৫ বছর আটকে থাকা এ নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের মাঝে উৎসাহের কোনো কমতি ছিল না। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই প্রায় প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার বিমলেন্দু কিশোর পাল জানান, উৎসবের আমেজে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সরকারি এই কর্মকর্তা আরও জানান, উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফলাফলে- ১ নম্বর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নে আনারস প্রতীক নিয়ে বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. বদরুদ্দোজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৪৭ ভোট ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী জাহিরুল ইসলাম মুরাদ পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৪ ভোট।

২ নম্বর মাইজগাঁও ইউনিয়নে বিজয়ী ধানের শীষের প্রার্থী সুফিয়ানুল করিম চৌধুরি পেয়েছেন ৫ হাজার ১৫৫ ভোট ও নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী নৌকার প্রার্থী জুবেদ আহমদ চৌধুরি শিপু পেয়েছেন ৪ হাজার ২২৫ ভোট।

৩ নম্বর ঘিলাছড়া ইউনিয়নে বিজয়ী নৌকার প্রার্থী লেইছ চৌধুরি পেয়েছেন ৭ হাজার ৫৪৮ ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী মো. আফতাব আলী পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৬৬ ভোট।

৪ নম্বর উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নে বিজয়ী ধানের শীষের প্রার্থী আহমদ জিলু পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৮০ ভোট ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মো. লুদু মিয়া পেয়েছেন ২ হাজার ৫৯৮ ভোট।

৫ নম্বর উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নে বিজয়ী ধানের শীষের প্রার্থী এমরান উদ্দিন পেয়েছেন ২ হাজার ৫৫২ ভোট ও নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান মিটু পেয়েছেন ১ হাজার ৪৭৫ ভোট।