ঝিনাইদহে কৃষক আব্দুর রশিদ হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক গোলাম আযম এ দন্ডাদেশ দেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৯ মে হরিণাকুন্ডু উপজেলার সুড়া গ্রামের জাহের আলীর ছেলে কৃষক আব্দুর রশিদকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। ওইদিন রাতে পার্শবর্তী আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের আমিরুল ইসলামের বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচা আব্দুল গনি মোল্লা বাদী হয়ে পরের দিন অজ্ঞাতদের আসামী করে হরিণাকুন্ডু থানায় একটি মামলা দায়ের করে।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২২ নভেম্বর ৪ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দাখিল করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। বিচারিক কার্যক্রম শেষে আজ আদালতের বিচারক আসামী নান্নু মিয়া ও শাহীন মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে এবং এ মামলার অন্য আসামী মফিজ ও কামাল হোসেনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। দন্ডিত নান্নু মিয়া হরিণাকুন্ডু উপজেলার আদর্শ আন্দুলিয়া গ্রামের আইয়ুব হোসেনের ছেলে ও শাহীন মিয়া একই উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের মফিজ মিয়ার ছেলে।

এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এ্যাড. ইসমাইল হোসেন বলেন, যার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল তার কাছ থেকে আসামীরা মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। আসামীরা আমিরুল ইসলামের কাছে হত্যার ঘটনার কয়েকদিন আগে থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল। লাশের খবর জানিয়ে ফোনে টাকা না দিলে তার লাশও একই রকম ভাবে সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে রাখা হবে বলে হুমকি দেয় তারা। তিনি বলেন, আমরা আসামীদের আরও কঠোর শাস্তি আশা করেছিলাম। বিজ্ঞ বিচারক যে সাজা দিয়েছেন তাতে আমরা সন্তুষ্ট। আমরা আশা করছি এ মামলায় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।